
রফিকুল ইসলাম রফিক, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় বুধবার (২২ জানুয়ারি) সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে ছিল গোটা জেলা। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে এমন ঘন কুয়াশা জনজীবনকে চরম দুর্ভোগে ফেলেছে।
কুয়াশার কারণে কুড়িগ্রামের কৃষি ক্ষেতে নেমে এসেছে নতুন সংকট। সরিষা, গম, আলু এবং সবজির জমিতে ফাঙ্গাসের আক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কৃষক আব্দুর রহিম জানান, “গতকাল পর্যন্ত জমিতে কাজ করলেও আজ কুয়াশার কারণে মাঠে যেতে পারিনি। ঘন কুয়াশার কারণে শরীর ভিজে যায়। তাই বাড়িতে বসে দিন কাটাতে হচ্ছে।”
কুয়াশার প্রকটতায় রাস্তাঘাটে যান চলাচল প্রায় থমকে গেছে। দুর্ঘটনার শঙ্কা মাথায় রেখে অনেক পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। স্কুলগামী শিক্ষার্থী, দিনমজুর ও অফিসগামী মানুষজনকে পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগে।
নদী সংলগ্ন চিলমারী, নাগেশ্বরী, রৌমারী এবং ফুলবাড়ী উপজেলায় শীতের প্রকোপ আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, কুয়াশার কারণে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এ অবস্থায় শীতজনিত রোগ বৃদ্ধির শঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মাগুরা পুলিশ লাইন্স স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা উদ্বোধন
জেলা প্রশাসক কুয়াশার কারণে সৃষ্ট দুর্ঘটনা এড়াতে মানুষকে সাবধানে চলাফেরা করার এবং ঠাণ্ডা থেকে সুরক্ষিত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
কুয়াশাচ্ছন্ন কুড়িগ্রামে আজকের দিনটি শুধু শীতকালীন প্রকৃতির রূঢ় রূপ নয়, বরং মানবিক সংকটের একটি প্রতিচ্ছবি। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, শৈত্যপ্রবাহের এই প্রকট দ্রুত কেটে যাবে এবং জনজীবন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।