
মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের কার্যক্রম গত কয়েক মাসে এক চরম অচলাবস্থার মধ্য দিয়ে গেছে। ৫ আগস্টের সরকার পতনের পর থেকে কেন্দ্রটির কার্যক্রমে অস্থিরতা, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের ষড়যন্ত্র। কর্মচারীদের বেতন বকেয়া, বিল পরিশোধে জটিলতা, এবং নিয়মিত কার্যক্রমে স্থবিরতা তৈরি হয়।
নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হলে তা ভেস্তে দিতে ভাড়া করা লোকজন এনে হামলা চালানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী মো. হারুন এবং তার ঘনিষ্ঠরা এ ষড়যন্ত্রের মূল পরিকল্পনাকারী।
২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর, কমিটি গঠন নিয়ে সিনিয়র প্রকৌশলীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের নেতারা নিজেদের দুর্নীতির অভিযোগ ঢাকতে হামলা এবং বিশৃঙ্খলার আশ্রয় নেন। এ সময় সিনিয়র প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন, দুলাল হোসেনসহ কয়েকজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।
এরপর গত ১১ জানুয়ারি, আবারও সিনিয়র প্রকৌশলী রাশেদ আলমের ওপর হামলা চালানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, এসব হামলায় প্রকৌশলী সোহান আহমেদ টিটুর নেতৃত্বে কয়েকজন প্রকৌশলী সক্রিয় ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের নেতারা প্রতিষ্ঠানটির সম্পত্তি বিক্রি, রেস্টুরেন্ট বরাদ্দ, এবং আর্থিক লেনদেন নিয়ে ব্যাপক অনিয়মে জড়িত ছিলেন। এসব দুর্নীতির অভিযোগ ধামাচাপা দিতেই তারা হামলা এবং বিশৃঙ্খলার আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আইইবির নবনির্বাচিত কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, “সিনিয়র প্রকৌশলীদের ওপর হামলা ন্যাক্কারজনক। পূর্বের কমিটির দুর্নীতি এবং অনিয়ম তদন্তে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
আরও পড়ুনঃ রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসে অবহেলিত বীরশ্রেষ্ঠদের স্মৃতি
নতুন কমিটি জানিয়েছে, আইইবিকে সুষ্ঠু পরিবেশে ফিরিয়ে আনতে তদন্ত কমিটি গঠন এবং দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আইইবির চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে এবং দুর্নীতি দমনে নতুন কমিটি কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। এছাড়া পরবর্তী কাউন্সিল মিটিংয়ে হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নবনির্বাচিত কমিটি।
এই পরিস্থিতিতে আইইবির সদস্যরা সুষ্ঠু পরিবেশ প্রতিষ্ঠায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।