বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার শাজাহানপুরে আড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্পের ইট ও ঢেউটিন লুটের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ওই দুই নেতার বাড়ির উঠানে এসব ইটের স্তূপ দেখতে পেয়েছে স্থানীয়রা। তবে ঢেউটিনগুলো ভাঙ্গা হওয়ায় বিক্রি করেছেন বলে স্বীকার করেন অভিযুক্ত একজন।
এ ঘটনায় জড়িত দুজন হলেন আড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম এবং আড়িয়া ইউনিয়নের সদস্য ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান।
উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আড়িয়া ইউনিয়নের জামুন্না হাটে বহুদিন আগে সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তা করা ছিল। সম্প্রতি এই হাট উন্নয়নে একটি কাজ চলমান রয়েছে। সে জন্য আগের প্রকল্পের হাটে চলাচলে স্থাপিত প্রায় ৩৫ হাজার ইট ও ঢেউটিন উঠানো হয়।এসব ইট হাটে ফেলে রাখা ছিল। এই সুযোগে সেগুলো তুলে নিয়ে যান খোরশেদ আলম ও জাহিদুল ইসলাম। এর মধ্যে ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম প্রায় ১৩ থেকে ১৪ হাজার ইট জামুন্না বগুড়া পাড়া গ্রামের রাস্তার কাজের জন্য নিয়ে যান। আর বাকি ইট খোরশেদ আলম তার বাড়ির উঠানে ফেলে রাখেন।
ইট নিয়ে আসার কথা স্বীকার করেন আড়িয়া ইউনিয়নের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী ফারুক হোসেন সঙ্গে পরামর্শ করে সাড়ে ১৩ হাজার ইট নিয়ে আসা হয়েছে। আর ঢেউটিনগুলো ভাঙ্গা ছিল, ওগুলো ৪২০০ টাকায় বিক্রি করে শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হয়েছে।
তবে আড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম জানান, তার বাড়ির আঙ্গিনায় হাটের সরকারি ইট তিনি নিয়ে আসেননি। সেগুলো ইউপি সদস্য জাহিদুল ও চেয়ারম্যান পাঠিয়েছেন।
আরও পডুনঃ শাজাহানপুরে রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক কল্যাণ ইউনিয়নের ইফতার মাহফিল
হরিলুট হওয়া ইটগুলো সম্পর্কে আড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান জানান, জামুন্না হাটে সরকারিভাবে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী সঙ্গে কথা বলে ইটগুলো তুলে হাটে রাখতে বলছিলাম। কিন্তু কাউকে নিয়ে যেতে বলা হয়নি। বিষয়টি জানার পর গ্রামপুলিশকে দিয়ে ইটগুলো উদ্ধার চেষ্টা চলছে।
শাজাহানপুর উপজেলা প্রকৌশলী ফারুক হোসেন বলেন, লুট হওয়া ইটগুলো নতুন কোনো প্রকল্পের নয়। অনেক আগের বিভিন্ন সময়ের উন্নয়ন কাজের। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ভালো জানেন। তাকে ডাকা হয়েছে, তিনি আসলে ইটের পরিমাণ কোন প্রকল্পের বিস্তারিত জানা যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিদা আক্তার বলেন, ওই ইটগুলো উদ্ধার করা হচ্ছে ও তাদেরকে ডাকা হয়েছে। তারা কোন অধিকারে ইটগুলো নিয়ে গেছেন তা জানতে চাওয়া হবে। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।