
মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে গণমাধ্যমসহ দেশের বিভিন্ন সেক্টরে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিতাড়িত করার দাবি জানানো হয়েছে। বক্তারা বলেন, “স্বৈরাচারের দোসররা দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের বিতাড়িত না করা গেলে জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না।”
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে আয়োজিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা স্বৈরাচারের দোসরদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান। তারা বলেন, “স্বৈরাচারী সরকারের সহযোগীরা আজও সক্রিয়। গণমাধ্যমে থাকা এসব ষড়যন্ত্রকারীদের সরাতে হবে।”
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, কিছু গণমাধ্যম এখনও ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের দোসরদের স্বার্থ রক্ষা করছে। তারা বলেন, “স্বাধীনতার চেতনা লঙ্ঘন করে গণমাধ্যমে কাজ করা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের বিতাড়িত না করলে গণঅভ্যুত্থানের চেতনা দুর্বল হয়ে পড়বে।”
বক্তারা আরো বলেন, “স্বৈরাচারী হাসিনার পলায়নের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের যে বিজয় অর্জিত হয়েছে, তা ধরে রাখতে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। দেশের স্বার্থে ভারতসহ যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।”
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার আঞ্চলিক প্রতিনিধি জাহিদুল করিম কচি। তিনি বলেন, “আমরা নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছি, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তাই এখন কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। গণমাধ্যম থেকে স্বৈরাচারের দোসরদের বিতাড়ন করতে হবে।”
বক্তারা ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা সমতার ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চেয়ে বলেন, “ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রাম প্রবাসী ক্লাবের নেতৃবৃন্দের চসিক মেয়রের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ সাংবাদিক সরোয়ার আলম। সঞ্চালনা করেন দৈনিক দিনকালের ব্যুরো প্রধান মোস্তফা নঈম। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সালেহ নোমান, মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, কামরুল হুদা, আবু সুফিয়ান, এবং চট্টগ্রামের রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় ছাত্র সমন্বয়ক রাসেল আহমদ, নারী নেত্রী জান্নাতুল নাঈমা রিকু, এবং যুব সংগঠক মোশাররফ হোসাইনসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে গণমাধ্যমকর্মী ছাড়াও রাজনৈতিক, সামাজিক ও ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বান জানান।