মোঃ আসিফুজ্জামান আসিফ, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ সাভারের আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকার রাজউকের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সোহরাব হোসেন মাস্টার রোলে চাকরি করেও গড়ে তুলেছেন বিপুল সম্পদের সাম্রাজ্য।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, ঘুষ ও অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে তিনি আশুলিয়া, গাজীপুর, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক বাড়ি, ফ্ল্যাট, জমি এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।
সোহরাবের বাড়ি ধামরাই উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে। তার বাবা পেশায় একজন কৃষক, সংসার চলত চরম অভাব-অনটনের মধ্যে। শ্বশুরের টাকায় পড়াশোনা করা সোহরাব চাকরির পর ধীরে ধীরে অঢেল সম্পদের মালিক বনে যান। তিন বছর আগে অবসর নিলেও তিনি এখনো অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পদের মালিকানা ভোগ করে চলেছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সোহরাব তার নিজের নামে, স্ত্রীদের নামে, সন্তানদের নামে এবং শ্যালকদের নামে অগণিত সম্পদ কিনেছেন। তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে—আশুলিয়ার শ্রীপুরে চারটি বাড়ি, গাজীপুরের ভবানীপুরে একাধিক জমি, বাইপাইল-চন্দ্রা মহাসড়কের পাশে ছয়তলা ভবন ও গোডাউন, ঢাকার পূর্বাঞ্চলে একাধিক প্লট, রংপুরে স্ত্রীর নামে ৭০ লাখ টাকায় কেনা বহুতল ভবন, উত্তরা দিয়াবাড়িতে একাধিক ফ্ল্যাট, বড় স্ত্রী কোহিনূরের নামে বাড়ি ও খামার, ছোট স্ত্রী ও শ্যালকদের নামে জমি ও বাড়ি, বাবার নামে ‘হালিম জেনারেল হাসপাতাল’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুনঃ মাগুরার হরিশপুরে অনুষ্ঠিত হলো তারুণ্যের উৎসব কাবাডি প্রতিযোগিতা- ২০২৫
গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে সোহরাব তার অবৈধ সম্পদ রক্ষায় বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তার বিপুল সম্পদের উৎস সম্পর্কে স্থানীয়দের মনে ব্যাপক প্রশ্ন উঠেছে। তবে এখনও পর্যন্ত তিনি প্রশাসনের নজরদারির বাইরে রয়েছেন, যা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
সোহরাবের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি তার অবৈধ সম্পদের বিষয়ে তদন্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সোহরাবের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে, তার অবৈধ সম্পদের নতুন তথ্য পরবর্তী প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হবে।