মোঃ জাহিদুর রহিম মোল্লা, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধিঃ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে গ্রাম্য শালিস চলাকালে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেনসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (৯ মার্চ) দুপুরে বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের বিলটাকাপোড়া ঈদগাহ মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন—নারুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন (৫৫), হুমায়ুন কবির (৪২), ফরহাদ মোল্যা (৩৮), রাশেদুল মোল্যা (২৫), নাসির মন্ডল (৪৫), আব্দুর রহিম (৬৫) ও বাবলু (৩৫) সহ অন্তত ২০ জন। আহতদের বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ২০২১ সালে আলমগীর হোসেনের মেয়ে (১৬) ও একই গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে সাব্বির (১৮) পালিয়ে যায়। পরে তারা আবার নিজ নিজ পরিবারের কাছে ফিরে আসে। তবে ২০২৪ সালে তারা পুনরায় পালিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করে। এরপর মেয়ের বাবা স্থানীয়দের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করে নিজের জিম্মায় নিয়ে আসেন এবং বালিয়াকান্দি থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
গত ৪ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাব্বির মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ করে তার বাড়িতে আসলে, মেয়ের বাবা ও তার স্বজনরা তাকে আটক করে মারধর করেন এবং একটি খেলনা পিস্তলসহ গাছের সাথে বেঁধে রাখেন। খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং দু’গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিতে থাকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত সাব্বিরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরও পড়ুনঃ “আমি ধর্ষিতার ভাই বলছি” কবিতা
এর জেরে রবিবার দুপুরে বিলটাকাপোড়া ঈদগাহ মাঠে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের উপস্থিতিতে শালিস বসে। একপর্যায়ে তর্কবিতর্কের জেরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জামাল উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।