মোঃ মাসুদ রানা মনি, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় তিন মাস ধরে নিখোঁজ থাকা বাক ও মানসিক প্রতিবন্ধী ইয়াসমিন আক্তার (১৯) স্বজনদের কাছে ফিরে গেছেন। রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাশারের মানবিক উদ্যোগেই এই পুনর্মিলন সম্ভব হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) গভীর রাতে রামগঞ্জ পৌরসভার মধুপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এলোমেলো ঘোরাঘুরি করতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। রামগঞ্জ থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে। এরপর ওসি আবুল বাশার ‘রামগঞ্জ থানা পুলিশ’ ফেসবুক পেজে ইয়াসমিনের ছবি ও তথ্য প্রকাশ করলে দ্রুত তার পরিবারের খোঁজ পাওয়া যায়।
ইয়াসমিনের বাবা ফরিদ মিয়া জানান, গত ২৩ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন ইয়াসমিন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ২৭ ডিসেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন, কিন্তু এতদিনেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। বুধবার সকালে ফেসবুক পোস্ট দেখে পরিচিতরা নিশ্চিত করেন যে তার মেয়ে রামগঞ্জ থানায় রয়েছে।
প্রায় তিন মাস পর মেয়েকে ফিরে পেয়ে ফরিদ মিয়া আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং রামগঞ্জ থানার ওসি আবুল বাশারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, ওসি আবুল বাশার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে দ্রুত তদন্ত টিম গঠন করেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালান। দ্রুতই এই প্রচারণার মাধ্যমে ইয়াসমিনের পরিবারের কাছে খবর পৌঁছে যায়।
আরও পড়ুনঃ নিউমার্কেট মাছ বাজার স্থানান্তরে ব্যবসায়ীদের আপত্তি
শুধু উদ্ধার করাই নয়, ওসি আবুল বাশার ঈদ উপহার ও যাতায়াত খরচ দিয়ে ইয়াসমিনকে তার বাবার কাছে হস্তান্তর করেন। তিনি বলেন, "একটি পরিবার তাদের হারানো সন্তানকে ফিরে পেয়েছে, এর চেয়ে আনন্দের কিছু হতে পারে না। পুলিশের কাজ শুধু অপরাধ দমন নয়, মানবিক সহায়তাও নিশ্চিত করা।"
ওসি সবাইকে আহ্বান জানান, সমাজের নিখোঁজ ও অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এবং নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে।