শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শেরপুরে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক বিধবার বসতবাড়িতে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে তাকে ও তার ছেলেকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারীরা বাড়িঘরে ভাঙচুর চালিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারও লুটে নেয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। গুরুতর আহত অবস্থায় মা ও ছেলেকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের জামনগর গ্রামে। এ বিষয়ে শনিবার (৫ এপ্রিল) সকালে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী বিধবা নারী। তবে মামলা দায়েরের পরও অভিযুক্তদের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

মামলার তথ্য সূত্রে জানা যায়, নয় বছর আগে স্বামী জহুরুল ইসলাম মারা যাওয়ার পর থেকে একমাত্র ছেলে আব্দুল্লাহকে নিয়ে স্বামীর ভিটাতেই বসবাস করছিলেন ওই নারী। একই গ্রামের জোব্বার প্রামাণিকের ছেলে মাহবুবার রহমান দীর্ঘদিন ধরেই তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মাহবুব ক্রমাগত উত্যক্ত করতে থাকেন।

গত ২ এপ্রিল বিকেলে মাহবুব ওই বিধবার বাড়িতে গিয়ে আবারও তাকে উত্যক্ত করেন এবং একপর্যায়ে তার হাত ধরে টানা-হেঁচড়া শুরু করেন। বাধা দিলে মাহবুব বাঁশের লাঠি দিয়ে বিধবার মাথায় আঘাত করেন, এতে তিনি রক্তাক্ত হন। চিৎকার শুনে ছেলে আব্দুল্লাহ এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে গুরুতর জখম করেন অভিযুক্ত। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আরও পড়ুনঃ গাজায় হামলার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী ধর্মঘটে ইবি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের ঘোষণা

ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার পর মাহবুব ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে একাধিকবার তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে ঘরের আসবাবপত্র ও জিনিসপত্র ভাঙচুর করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করা হয়। লুটে নেওয়া হয় নগদ তিন লাখ টাকা এবং দেড় লাখ টাকার স্বর্ণালংকার।

অভিযুক্ত মাহবুবার রহমানের বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, "ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।"