মোঃ মাসুদ রানা মনি, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ ঈদের আগমুহূর্তে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকায় সরকার সাধুবাদ পেলেও ঈদের পরপরই বদলে গেছে সেই চিত্র। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সবজির বাজারে হঠাৎ করে অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে এখন যেন আগুন লেগেছে—প্রতিটি সবজির কেজি দরে বেড়েছে ১৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত।
রামগঞ্জ উপজেলার আধুনিক মাছ ও কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, করলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে, পটল ৮০ টাকা, বেগুন ৭০, মিষ্টি আলু ৫০, শসা ৪০, ঢেঁড়স ও ধুন্দুল ৬০, কাঁচামরিচ ৬০ এবং সিম ৮০ টাকা কেজি দরে। টমেটো ৪০ টাকা আর লেবুর হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এমন হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধির জন্য সাধারণ মানুষ দায়ী করছেন অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে। ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, কৃষকের মাঠ থেকে ভোক্তার হাতে আসা পর্যন্ত সবজির দামে একাধিক হাত বদলের সময় নিয়ন্ত্রণের অভাবে সিন্ডিকেট সুবিধা নিচ্ছে।
স্থানীয় এক খুচরা বিক্রেতা নাসির বলেন, “আমরা আড়ৎ থেকে যেই দামে কিনে আনি, তাতে প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকার বেশি লাভ থাকে না। মূল দাম বাড়ছে পাইকারিতে।”
আড়ৎ শাহজালাল বাণিজ্যালয়ের ম্যানেজার মো. বিল্লাল হোসেন জানান, “কুমিল্লার নিমসার থেকে সবজি আনার খরচ আগের তুলনায় বেড়েছে। উৎপাদনও কমেছে। এ কারণে পাইকারিতে দাম বেশি থাকায় খুচরায়ও বাড়ছে।”
অপরদিকে, সাধারণ ক্রেতারা মনে করছেন, মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনিক নজরদারি জোরদার হলে এবং কৃষক-ক্রেতা মধ্যকার সরাসরি যোগাযোগ বাড়লে এই পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব। তারা চাচ্ছেন কাঁচাবাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতে প্রশাসন যেন দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
আরও পড়ুনঃ পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ ছাত্রদলের কাউন্সিলে পর্যবেক্ষক ইবি ছাত্রদলের শাহেদ, কমিশনার মিথুন
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদ মোহাম্মদ রবিন শীষ বলেন, “নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলছে। কেউ যদি বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
সবমিলিয়ে ঈদের পরবর্তী সময়ে নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি যেন নতুন করে সাধারণ মানুষের কাঁধে বাড়তি চাপ হয়ে এসেছে, যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনা গেলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।