spot_img

― Advertisement ―

spot_img

মাদ্রাসাছাত্র সাইফুদ্দিনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে অভিনেতা, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ ২০১জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দেশের বিশিষ্টজনদের মধ্যে অভিনেতা, সাংবাদিক, সাবেক উপাচার্য ও লেখকসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে...
প্রচ্ছদসারা বাংলাপটিয়ার ডেঙ্গাপাড়ায় প্রয়োজনবিহীন কালভাট নির্মাণে স্থানীয়দের উদ্বেগ

পটিয়ার ডেঙ্গাপাড়ায় প্রয়োজনবিহীন কালভাট নির্মাণে স্থানীয়দের উদ্বেগ

সোমনাথ সেন শুভ, পটিয়া প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার পটিয়া টু বোয়ালখালী সংযোগ সড়কের ডেঙ্গাপাড়া এলাকায় একটি নতুন কালভাট নির্মাণ ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, যেখানে প্রকৃত কোনো জলাবদ্ধতা বা পানিপ্রবাহের প্রয়োজন নেই, সেখানে এই অবকাঠামো নির্মাণ একেবারেই অপ্রয়োজনীয় এবং এটি জনগণের করের টাকার অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সড়কটির পূর্বের উন্নয়ন প্রকল্পে অনুমোদিত কালভাটগুলোর মধ্যে একটি বাদ পড়ে যায়। পরবর্তীতে সেই বাদ পড়া কালভাটের অনুপস্থিতি প্রকল্পের বিল অনুমোদনে জটিলতা সৃষ্টি করে। এই বিল অনুমোদন সহজ করতে গিয়ে বর্তমানে ডেঙ্গাপাড়ার এক অপ্রয়োজনীয় স্থানে কালভাট নির্মাণ করা হচ্ছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

এলাকাবাসীর এক সদস্য বলেন, “এখানে পানির কোনো সমস্যা নেই, বছরের পর বছর আমরা স্বাভাবিকভাবে যাতায়াত করছি। এই কাজটা জনগণের উপকারের জন্য নয়, এটা ঠিকাদারের বিল ছাড় করানোর উদ্দেশ্যে।”

তারা আরও জানান, ডেঙ্গাপাড়া ছাড়াও আশপাশে এমন বহু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রয়েছে যেখানে প্রকৃতপক্ষে কালভাট দরকার, কিন্তু সেসব জায়গায় কোনো উন্নয়নমূলক কাজ দেখা যাচ্ছে না। এতে প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।

আরও পড়ুনঃ আরএমপির মতিহারে মাদকের স্বর্গরাজ্য, এক হোয়াইট কালার গডফাদার এখনও অধরা

একজন প্রবীণ সমাজকর্মী বলেন, “সরকারি অর্থ দিয়ে উন্নয়ন করতে হলে তার প্রতিটি পদক্ষেপে স্বচ্ছতা ও প্রয়োজনীয়তা থাকা উচিত। উন্নয়ন যেন শুধুমাত্র ফাইলপত্রে সীমাবদ্ধ না থাকে, বাস্তবেও তার সুফল জনগণ পায়—তা নিশ্চিত করাই প্রশাসনের দায়িত্ব।”

এই বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেন, “পুরাতন প্রকল্পের অসম্পূর্ণ অংশ পূরণ করতেই এই কালভাট নির্মাণ করা হচ্ছে।” তবে এ বক্তব্যে স্থানীয়দের অনেকে সন্তুষ্ট নন। তাদের দাবি, বাস্তব পরিবেশ বিবেচনা না করে কেবল বিল ছাড় করানোর জন্য এমন অপ্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হলে তা হবে প্রকল্প অপব্যবহারের স্পষ্ট প্রমাণ।

এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন স্থানীয়দের এই উদ্বেগ কতটা গুরুত্বের সঙ্গে নেয় এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিতে কী পদক্ষেপ নেয়।