
মোঃ বিপুল মিয়া, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন শাশুড়ি মোমেনা বেওয়া (৫৫)।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার শাহবাজার সংলগ্ন পোদ্দারটারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত মোমেনা বেওয়া ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার পর মোমেনা বেওয়া ফুলবাড়ী থানায় জামাই খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দশ বছর আগে মোমেনা বেওয়ার মেয়ে সাহিদা খাতুনের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী পোদ্দারটারী এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে খাইরুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সাহিদাকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে আসছিল খাইরুল। পরিস্থিতি সহ্য করতে না পেরে সাহিদা ঢাকায় গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে চাকরি নেন। কিন্তু সেখান থেকেও ফুসলিয়ে সাহিদাকে বাড়ি এনে আবারও যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে খাইরুল। এর আগেও শ্বশুরবাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
শনিবার সকালে খাইরুল শ্বশুরবাড়িতে এসে জোরপূর্বক চাল নিয়ে যায়। বিষয়টি জানতে চেয়ে শাশুড়ি মোমেনা বেওয়া খাইরুলের বাড়িতে গেলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করে জামাই খাইরুল। লাঠির আঘাতে মোমেনার মাথা ফেটে যায় এবং তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা ও মেয়ে সাহিদা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে হাফিজ সোসিয়াল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন
ভুক্তভোগী সাহিদা খাতুন বলেন, “বিয়ের পর থেকেই খাইরুল যৌতুকের টাকা চাইত। টাকা না দিলে মারধর করত। আজ আমার মাকেও মারপিট করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।”
আহত মোমেনা বেওয়া বলেন, “মেয়ের সংসার টিকিয়ে রাখতে সব সহ্য করেছি। খাইরুলকে নিজের সন্তানের মতো দেখতাম। কিন্তু আজ কথা বলতেই লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেছে। আমি তার কঠিন বিচার চাই।”
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।