
মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ ১৯৯১ সালের ভয়াল ঘূর্ণিঝড় ‘মেরি এন’-এর স্মৃতিচারণে আয়োজিত এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন, নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে ১০ লাখ চারা রোপণ করা হবে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মেয়র বলেন, “৯১ সালের সেই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের করুণ স্মৃতি আজও মানুষ ভুলতে পারেনি। স্বজনহারা, ঘরহারা মানুষগুলো যে দুঃসহ সময় পার করেছে, তা ইতিহাসের এক বেদনাবিধুর অধ্যায়।” তিনি আরও বলেন, “ভবিষ্যতে এমন বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং ব্যাপক বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে আমি স্বাস্থ্যসেবা কাজে যুক্ত ছিলাম। উপকূল অঞ্চলের বাঁশখালী, আনোয়ারা এবং নগরের বিভিন্ন এলাকায় চিকিৎসা দিতে গিয়ে যে করুণ দৃশ্য দেখেছি, তা আজও ভুলতে পারিনি।”
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, আলোকচিত্র প্রদর্শনী উপকমিটির আহ্বায়ক গোলাম মাওলা মুরাদ, আলোকচিত্রী শিশির বড়ুয়া ও রূপম চক্রবর্তী এবং দৈনিক দিনকালের ব্যুরো প্রধান হাসান মুকুল।
আরও পড়ুনঃ রাজস্ব নীতিতে অভিজ্ঞতার অবমূল্যায়নের অভিযোগ বিসিএস কাস্টমস ও ভ্যাট অ্যাসোসিয়েশনের
প্রদর্শনীতে মোট ৫০টি দুর্লভ আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়, যা ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা ও মানবিক বিপর্যয়ের চিত্র তুলে ধরে। ‘কাকঁড়ার ভোজ’ শিরোনামের একটি ছবি সম্পর্কে আলোকচিত্রী শিশির বড়ুয়া বলেন, “মাত্র ৪৫ মিনিটে কাঁকড়ার দল একটি লাশ নিঃশেষ করে দেয়। সেই দৃশ্য নিজের চোখে দেখা এবং ক্যামেরায় ধারণ করার পর থেকে এখনো মনে হলে শিউরে উঠি।” তিনি এসব দুর্লভ ছবিগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষণের দাবি জানান।