spot_img

― Advertisement ―

spot_img

রামগঞ্জবাসীর জীবনে মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে বীরেন্দ্র খাল — সময়মতো খনন না হলে এবারও ডুববে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ

মোঃ মাসুদ রানা মনি, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার বুক চিরে প্রবাহিত ঐতিহ্যবাহী হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ বীরেন্দ্র খাল এখন রীতিমতো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই...
প্রচ্ছদসারা বাংলালক্ষ্মীপুরে খাল দখল করে দোকান নির্মাণ, বর্ষার আগেই জলাবদ্ধতার আশঙ্কা

লক্ষ্মীপুরে খাল দখল করে দোকান নির্মাণ, বর্ষার আগেই জলাবদ্ধতার আশঙ্কা

মোঃ মাসুদ রানা মনি, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার শান্তিরহাট বাজারে সরকারি খাল দখল করে একটি দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে।

সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শান্তিরহাট বাজার সংলগ্ন খালটির মধ্যবর্তী অংশ দখল করে একটি দোকানঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ইট, রড ও অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে নির্মাণকাজ চালানো হচ্ছিল। ইতোমধ্যে কয়েকটি পিলারও গেঁথে ফেলা হয়েছে। সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে নির্মাণকর্মীরা দ্রুত কাজ বন্ধ করে স্থান ত্যাগ করেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, খাল দখলের ফলে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, যা বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করতে পারে। জাকির হোসেন শান্তিরহাট এলাকার মোহাম্মদ মোস্তফার ছেলে।

এলাকাবাসীর দাবি, খালটি দখলের ফলে আশপাশের কয়েকশ কৃষকের জমিতে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হবে। এতে বর্ষায় জলাবদ্ধতা এবং শুকনো মৌসুমে সেচকাজে সমস্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার প্রতিবাদ জানানো হলেও জাকির হোসেন প্রভাব খাটিয়ে তাদের হুমকি দিচ্ছেন এবং হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, “আমরা বাধা দিয়েছিলাম। কিন্তু জাকির আমাদের মামলা-হামলার ভয় দেখায়। কেউ কিছু বললেই সমস্যায় পড়তে হয়।”

আরও পড়ুনঃ সাব্বির হত্যা মামলায় তিন যুবকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, থানা ঘেরাও

অভিযোগের বিষয়ে জাকির হোসেন বলেন, “খাল দখল করে অন্যরাও দোকান তুলেছে, আমি শুধু তাদের দেখাদেখি করছি। এছাড়া খালের ভেতরে আমার কেনা জমি আছে, কাগজপত্রও রয়েছে।” তবে খালের মধ্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি কীভাবে সম্ভব—এ প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

এ বিষয়ে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহাত উজ-জামান বলেন, “কেউ যদি সরকারি খাল দখল করার চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

স্থানীয়দের দাবি, বর্ষা মৌসুম আসার আগেই খালটি দখলমুক্ত করে পানি চলাচলের স্বাভাবিক পথ পুনরুদ্ধার করা হোক, না হলে পুরো এলাকার কৃষি ও জনজীবন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।