মোঃ মাসুদ রানা মনি, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুক শাকিলের নেতৃত্বে তিন শিক্ষককে লাঞ্ছনার ঘটনার চার দিন পার হলেও প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি—এতে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার শিক্ষক মহলে।
ঘটনাটি ঘটে গত ১৬ মে, শুক্রবার। দল্টা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে সিসি ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়। খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদাউস, সহকারী শিক্ষক মো. মনির হোসেন ও ফেরদাউস খান ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিডিও ধারণের চেষ্টা করলে ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুক শাকিল, সহযোগী নুরে আলম জিকু ও জনিসহ ১৩–১৪ জন তাদের ওপর চড়াও হয়। শিক্ষকদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয় এবং লাঞ্ছনার শিকার হন প্রধান শিক্ষক, যার হাত মচকে যাওয়ায় তিনি এখন চিকিৎসাধীন।
সহকারী শিক্ষক ফেরদাউস খান জানান, ঘটনার পরপরই উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফাতেমা ফেরদৌসীকে অবহিত করা হয়। কিন্তু চার দিনেও কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি, নেওয়া হয়নি প্রশাসনিক ব্যবস্থাও।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বলেন, “বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে।” ইউএনও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, “বিদ্যালয়ের সম্পত্তি পরিমাপ শেষে থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।” তবে এখন পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ থানায় জমা দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুনঃ সাভার স্ট্যান্ডে যাত্রীদুর্ভোগ, সড়ক বিভক্তি গুলো যে গলার কাটা
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুক শাকিল দাবি করেন, “সরকারি বরাদ্দে সিসি ঢালাই করা হচ্ছিল স্থানীয়দের যাতায়াতের সুবিধার্থে। শিক্ষকদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, তা পরে সমাধান হয়েছে।”
তবে শিক্ষক সমাজ বলছে, “যে ঘটনা ভিডিও আছে, সেখানে ভুল বোঝাবুঝি নয়, বরং ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষকদের হেনস্তা করা হয়েছে।” এ অবস্থায় দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় শিক্ষক ও অভিভাবকরা।