মোঃ মাসুদ রানা মনি, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ নিখোঁজের ১৭ দিন পর উদ্ধার হলো রামগঞ্জ উপজেলার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক রাহাতের (১৯) গলিত লাশ।
সোমবার (১৯ মে) বিকেলে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার জয়াগ গ্রামের একটি ডোবায় কচুরিপানা পরিষ্কার করতে গিয়ে স্থানীয়রা লাশটি দেখতে পান। খবর পেয়ে সোনাইমুড়ি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত রাহাত লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ৬ নম্বর লামচর ইউনিয়নের দক্ষিণ কালিকাপুর গ্রামের ইউসুফ কামালের ছেলে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাহাত গত ২ মে বিকেলে অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেননি। এরপর রাতেই তার বাবা ইউসুফ কামাল রামগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন ৩ মে সোনাইমুড়ি এলাকা থেকে ব্যাটারিবিহীন অবস্থায় রাহাতের অটোরিকশাটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিখোঁজের ১৭ দিন পর জয়াগ গ্রামের জেলেরা মাছের পোনা ছাড়ার জন্য একটি ডোবায় কচুরিপানা পরিষ্কার করতে গেলে, সেখানেই কচুরিপানার নিচে একটি অজ্ঞাত লাশ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে সোনাইমুড়ি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। মঙ্গলবার সকালে রাহাতের বাবা জামাকাপড় দেখে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন।
সোনাইমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদ আলম বলেন, “লাশটি অনেক পুরনো হওয়ায় হাড় বেরিয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর লাশটি ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, রাহাতকে হত্যা করে তার অটোরিকশা ছিনতাই করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
আরও পড়ুনঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক মাদক মামলার আসামি গ্রেফতার
এদিকে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবুল বাশার জানান, “রাহাত নিখোঁজের পর থেকে তার সন্ধানে কাজ চলছিল। তার অটোরিকশাটি উদ্ধারের বিষয়টি আমরা সোনাইমুড়ি থানা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করেছি।”
স্থানীয়দের মতে, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত ছিনতাইয়ের ঘটনা। তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। রাহাতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার না হলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।