মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ “দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণা করে ডিসেম্বরে নির্বাচন দিন, ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ নেই”—এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। তিনি বলেন, “একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ও চব্বিশের জুলাই গণবিপ্লব—সবই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। তাই নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ তৈরি করলে তা সফল হবে না।”
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেল ৪টায় নগরীর খুলশীর গোল্ডেন স্পুন রেস্টুরেন্টের সানাই হলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির পরিচিতি ও প্রথম সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “বিগত ১৭ বছরে বিএনপির ১৫৩ জন নেতা-কর্মী গুম, ২২৭৬ জন ক্রসফায়ারে নিহত এবং মিথ্যা মামলায় প্রায় ৫০ লক্ষ নেতাকর্মী আসামি হয়েছেন। অথচ এই দমন-পীড়নের মধ্যেও বিএনপি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম থেকে সরে আসেনি।”
দক্ষিণ জেলা আওতাধীন মেয়াদোত্তীর্ণ উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটিগুলো বিলুপ্তির ঘোষণাও দেন মাহবুবের রহমান শামীম। বলেন, “নেতৃত্বে আসবে ত্যাগী ও মাঠের কর্মীরা। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির ঘাঁটি, আগামী নির্বাচনে এখানকার সব আসনে বিজয় অর্জন করবো ইনশাআল্লাহ।”
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ হারুন। তিনি বলেন, “অযৌক্তিক কারণে সাংগঠনিক কাজে অনুপস্থিত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রুপিংয়ের কারণে যারা বঞ্চিত হয়েছে, তাদের পুনঃঅন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
আরও পড়ুনঃ ইরানের এমআইউ বাংলাদেশস্থ অফিস পরিদর্শনে ইবি উপাচার্য
বিশেষ অতিথি ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, “তারেক রহমানের নেতৃত্বে সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের ভেতরে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি কাজ করছে—এটা প্রতিটি কার্যক্রমে স্পষ্ট।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মো. ইদ্রিস মিয়া এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন। এসময় নবগঠিত কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় নেতারা বিএনপির সাংগঠনিক পুনর্গঠনকে গণমানুষের আন্দোলনের অংশ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি প্রস্তুত রয়েছে।