
মোঃ মাসুদ রানা মনি, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় অনুমোদনহীন ও মানহীন পশুখাদ্য (ক্যাটল ফিড) উৎপাদন ও বাজারজাতের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জরিমানা ও জব্দ অভিযান চালানো হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) বিকালে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
স্থানীয় খামারিরা জানান, এসব অনুমোদনহীন পশুখাদ্য খেয়ে বেশ কিছু গরু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছেন লিটন মিয়ার ৫টি গরু, নূরনবীর ২টি ও রনজিতের ৪টি গরু। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে প্রশাসনের নজরে আসে এবং তাৎক্ষণিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
রামগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত দাশের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে সরওয়ার এগ্রো ফিডকে ৫ হাজার টাকা ও তাহের অ্যান্ড সন্সকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করে। এ সময় প্রায় ৩ টন অনুমোদনহীন পশুখাদ্য জব্দ করা হয়। আল-মদিনা ভেটেরিনারি নামের একটি প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালানো হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো জরিমানা আরোপের তথ্য এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।
অভিযানে সহায়তা করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস। তদন্তকালে দেখা যায়, এসব প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে সরকারি অনুমোদন ও মান নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই পশুখাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছিল, যা গবাদিপশুর স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত দাশ বলেন, “অননুমোদিত ও মানহীন পশুখাদ্য উৎপাদন কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে।”
আরও পড়ুনঃ প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য শুধু শেখা নয়, শেখানোর দক্ষতা সরবরাহ করা; ইবি উপাচার্য
রামগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রনি চন্দ্র দে বলেন, “পশুখাদ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হলে যথাযথ অনুমোদন ও মান নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য। খামারি ও ব্যবসায়ীদের সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনার আহ্বান জানানো হচ্ছে।”
প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সচেতন মহল। তারা মনে করেন, ঈদের সময় গরু মোটাতাজাকরণ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে যে অস্থিরতা তৈরি হয়, তা রোধে এই ধরনের অভিযান কার্যকর ভূমিকা রাখবে।