
মোঃ তরিকুল ইসলাম কলাপাড়া (উপজেলা) প্রতিনিধিঃ সন্ত্রাসী হামলা থেকে অলৌকিকভাবে বেঁচে ফিরে সুস্থ হয়ে নিজ জন্মভূমি কুয়াকাটায় ফিরেছেন বাংলাভিশনের সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মিরন। তাকে ঘিরে কুয়াকাটায় তৈরি হয় আবেগঘন পরিবেশ।
বুধবার (৪ জুন) বিকেলে কুয়াকাটা পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স মাঠে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে আয়োজিত হয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
কলাপাড়ার কৃতি সন্তান মিরনকে ঘিরে অনুষ্ঠানস্থলে জড়ো হন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ। ফুলেল শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতার বন্যায় সিক্ত হন সাংবাদিক মিরন। অনেকেই তার বেঁচে ফেরাকে ‘আল্লাহর কৃপা’ ও ‘অলৌকিক রক্ষা’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে কুয়াকাটার নিজ বাসার সামনে একদল সন্ত্রাসী সাংবাদিক মিরনের ওপর নৃশংস হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি কোপানোর ফলে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় অচেতন হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে স্থানীয় হাসপাতালে এবং সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল ও পরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ১২০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, কুয়াকাটা শাখা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব এবিএম মোশাররফ হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন— হাজী হুমায়ুন সিকদার (সভাপতি, কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি), মোঃ জাফরুজ্জামান খোকন (সিনিয়র সহসভাপতি), হাফিজুর রহমান চুন্নু (সাধারণ সম্পাদক), গাজী মোঃ ফারুক (সভাপতি, কলাপাড়া পৌর বিএনপি), আঃ আজিজ মুসুল্লি (সভাপতি, কুয়াকাটা পৌর বিএনপি), মোঃ আঃ জলিল হাওলাদার (সভাপতি, মহিপুর থানা বিএনপি), মোঃ মুসা তাওহীদ নান্নু মুন্সি (সাধারণ সম্পাদক, কলাপাড়া পৌর বিএনপি), মোঃ শাহজাহান পারভেজ (সাধারণ সম্পাদক, মহিপুর থানা বিএনপি), মোঃ শিবলু খান (ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, পটুয়াখালী জেলা যুবদল), মতিউর রহমান হাওলাদার (সাধারণ সম্পাদক, কুয়াকাটা পৌর বিএনপি) প্রমুখ।
আরও পড়ুনঃ বগুড়া জেলা ছাত্রদলের ৪৫ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সাংবাদিক মিরনের ওপর হামলা ছিল মানবতা ও গণমাধ্যমের ওপর নির্মম আঘাত। কিন্তু তিনি সাহস, ধৈর্য ও অদম্য মনোবলে সেই মৃত্যু ছুঁয়ে ফিরে এসেছেন। তার এ ফিরে আসা শুধু একজন মানুষের নয়, এটি গণমাধ্যমের এক দৃঢ়চেতা প্রতিনিধি ও সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এক প্রতীকী বিজয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা সাংবাদিক মিরনের সাহসিকতা, পেশাদারিত্ব এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, তিনি আরও শক্তি ও মনোবলে সমাজ ও দেশের কল্যাণে কাজ করে যাবেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি ছিল এক আবেগঘন বিকেল, যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে কুয়াকাটাবাসীর হৃদয়ে।