spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদসারা বাংলাঈদুল আযহার ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল, ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি

ঈদুল আযহার ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল, ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি

মোঃ তরিকুল ইসলাম কলাপাড়া (উপজেলা) প্রতিনিধিঃ ঈদুল আযহার প্রথম দিন বিকেল থেকেই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ঢল নামতে শুরু করেছে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা ভ্রমণপিপাসুরা ঈদের ছুটি উপভোগ করতে ছুটে আসছেন দক্ষিণ বঙ্গের এই জনপ্রিয় সমুদ্রকূলবর্তী শহর কুয়াকাটায়। সমুদ্রের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, একসঙ্গে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার অনন্য সুযোগ—সব মিলিয়ে ঈদ উদযাপনের অন্যতম গন্তব্যে পরিণত হয়েছে কুয়াকাটা।

গতকাল শনিবার (৭ জুন) বিকেলে কুয়াকাটা সৈকতে দেখা যায়, পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে আসা পর্যটকদের প্রাণচাঞ্চল্যে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। সৈকতের বালুচরে পা রাখতেই দেখা যাচ্ছে নানা বয়সী মানুষের উচ্ছ্বাস, কেউ সেলফি তুলছেন, কেউ ঘোড়ায় চড়ছেন, কেউবা আবার প্যারাসেইলিং কিংবা স্ন্যাকসের স্বাদ নিচ্ছেন।

হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে, ঈদের প্রথম দিন পর্যটকদের উপস্থিতি আশাব্যঞ্জক হলেও সবচেয়ে বড় ভিড় হবে ঈদের তৃতীয় দিন থেকে। কুয়াকাটা হোটেল মোটেল এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল ফরাজী বলেন, “এখানে প্রায় দুই শতাধিক হোটেল-মোটেল রয়েছে। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ হোটেলই ৮০% পর্যন্ত অগ্রিম বুকিংয়ে পূর্ণ হয়ে গেছে।”

স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান দেওয়ান জানান, “ঈদের ছুটিতে এবার পর্যটকদের ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তবে মূল ভিড় হবে তৃতীয় দিন থেকে। আমরা আশা করছি প্রতিটি অলিগলি ও সৈকতের আশপাশের অঞ্চল পর্যটকে ভরে উঠবে।”

পর্যটকদের আগমনে কুয়াকাটার স্থানীয় অর্থনীতিও চাঙা হয়ে উঠেছে। সৈকতের আশপাশের দোকানগুলোতে শামুক, ঝিনুক, হস্তশিল্প, নানা রকম চটপটি, ফুচকা, মাগ্নেটিক স্যুভেনির, লুঙ্গি-গামছাসহ দেশীয় পণ্যের বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ। দোকানিরা বলছেন, এমন বিক্রি বছরের অন্য সময় দেখা যায় না।

আরও পড়ুনঃ ইবি ছাত্রশিবিরের মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে অর্ধশতাধিক ইবিয়ানের মিলনমেলা

এদিকে ঈদ উপলক্ষে বাড়তি পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। সৈকতের বিভিন্ন স্পটে নিরাপত্তার চৌকি বসানো হয়েছে, রয়েছে পুলিশের নিয়মিত টহল। পর্যটকদের চলাচল ও যাতায়াত নির্বিঘ্ন রাখতে ট্রাফিক পুলিশও মাঠে সক্রিয় রয়েছে।

পর্যটকদের নিরাপদ, আনন্দদায়ক ও স্মরণীয় অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতেই কুয়াকাটার প্রশাসন ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ নিরলসভাবে কাজ করছে। আর পর্যটকদের উপস্থিতিতে ঈদুল আযহার ছুটি যেন পরিণত হয়েছে প্রকৃতি ও নির্মল আনন্দে ভরা এক ভ্রমণ উৎসবে।