spot_img

― Advertisement ―

spot_img

করোনা মোকাবিলায় সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে: মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ করোনার সম্ভাব্য সংক্রমণ রোধে চট্টগ্রামে সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, বিশেষজ্ঞ ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের...
প্রচ্ছদসারা বাংলাকরোনা মোকাবিলায় সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে: মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন

করোনা মোকাবিলায় সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে: মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ করোনার সম্ভাব্য সংক্রমণ রোধে চট্টগ্রামে সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, বিশেষজ্ঞ ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, “আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে আগের মতো এবারও সফলভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবো।”

বুধবার (১১ জুন) নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক জরুরি প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র এসব কথা বলেন। সভায় চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যখাত সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধি এবং সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

মেয়র জানান, সম্প্রতি চট্টগ্রামে শনাক্ত হওয়া তিন করোনা রোগীর কেউ বিদেশফেরত নন। বরং ঢাকায় চিকিৎসার সময় সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি স্থানীয় সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

করোনা মোকাবিলায় মেয়র চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক), বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আরটিপিসিআর পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু রাখার ঘোষণা দেন। পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন এলাকায় র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট এবং চসিকের মেমন-২ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা চালুর বিষয়েও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, “চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও মেমন-২ হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। পাশাপাশি চমেক হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে। গতবারের অভিজ্ঞতায় এখন আমাদের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বেশি আত্মবিশ্বাসী ও দক্ষ।”

মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সকল নাগরিককে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “সচেতনতা করোনা প্রতিরোধের প্রধান অস্ত্র। মাস্ক পরুন, হাত ধুন, ভিড় এড়িয়ে চলুন—এটাই এখন সবচেয়ে বড় করণীয়।”

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চসিকের পক্ষ থেকে একটি সার্ভিস সেন্টার চালুর ঘোষণা দেন মেয়র, যেখানে নাগরিকরা ফোনে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সহায়তা পাবেন।

এসময় করোনাসামগ্রী নিয়ে অনিয়ম ও ব্যবসার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, “গতবার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মাস্ক, ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে ব্যবসা করেছে। এবার আমরা আরও সতর্ক থাকবো। জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ম্যাজিস্ট্রেট দল মাঠে থাকবে এবং চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও নিয়মিত অভিযান চালাবেন।”

আরও পড়ুনঃ রাজশাহীতে বিতর্কিত পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়, স্বচ্ছতা প্রশ্নের মুখে

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অং সুই প্রূ মারমা, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন, সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকরাম হোসেন, চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এস এম সারোয়ার আলম এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

সভায় অংশগ্রহণকারী সবাই করোনা মোকাবিলায় সমন্বিত ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ব্যাপক প্রচার কার্যক্রম চালানোর আহ্বান জানান।