
আবুল কালাম আজাদ, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি: রাজধানীর কলাবাগান থানার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড ইউনিটের সভাপতি মোঃ শাহীনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহ মহানগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা দেশব্যাপী আলোচনার জন্ম দেয়। ভিডিওতে শাহীনকে নাক-মুখে রক্তাক্ত অবস্থায় বলতে শোনা যায়, সামান্য হর্ন বাজানোকে কেন্দ্র করে তাকে ছাত্রদলের কর্মীরা মারধর করেছেন।
শাহীন ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করে বলেন, “আমি আমার বসকে নিয়ে ময়মনসিংহে এসেছিলাম। গাড়িতে হর্ন দেওয়ার কারণে ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের ছেলেরা আমার যে অবস্থা করেছে, সেটা ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়। ছাত্রদলের সভাপতি সোহাগ কোনো কথা না বলেই এসে প্রথমে আমার মুখে আঘাত করেন, সঙ্গে আরও দুইজন ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমান ভাই, আপনি যদি ভিডিওটি দেখেন, বুঝতে পারবেন কী ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়েছি। বিএনপির একজন কর্মী হয়ে ছাত্রদলের হাতে এভাবে নিগৃহীত হওয়া সত্যিই দুঃখজনক।”
এ ঘটনায় তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং অবিলম্বে ন্যায়বিচার দাবি করেন।
আরও পড়ুনঃ কালুখালীতে চন্দনা নদী থেকে ইজিবাইক চালকের মরদেহ উদ্ধার
এদিকে, এ ঘটনায় ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদল ভিন্ন দাবি করেছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, মারধরের ঘটনার সময় শাহীনের গাড়িতে মহানগর কৃষকলীগের এক নেতা ছিলেন, যিনি জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত ছাত্র হত্যাসহ দুটি মামলার আসামি। ওই নেতাকে গাড়িতে দেখতে পেয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে বিএনপির স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় এবং বিভ্রান্তি নিরসনে দ্রুত তদন্ত ও সাংগঠনিকভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অনেকেই।