spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদসারা বাংলাগাজায় গণহত্যা বন্ধে মুসলিম উম্মাহকে সোচ্চার হতে হবেঃ জামায়াত নেতা ড. খলিলুর...

গাজায় গণহত্যা বন্ধে মুসলিম উম্মাহকে সোচ্চার হতে হবেঃ জামায়াত নেতা ড. খলিলুর রহমান

শেখ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সাভার প্রতিনিধিঃ “আগস্ট বিপ্লব ও অন্তর্বর্তী সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপের ফলে এবারের ঈদ পূর্বের তুলনায় খানিকটা স্বস্তিদায়ক হলেও গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা থামেনি, তাই মুসলিম উম্মাহকে ঘরে বসে না থেকে একসাথে সোচ্চার হতে হবে”—এমন বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা উত্তর অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. খলিলুর রহমান মাদানী।

শুক্রবার (১৩ জুন) সাভার কলেজ রোডের মামুন কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা জেলা শাখা আয়োজিত ঈদুল আজহা পরবর্তী এক ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা জেলা আমীর মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন জেলা নায়েবে আমীর শাহিনুর ইসলাম, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আফজাল হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা এবিএম কামাল হোসাইন, মাওলানা শাহাদাত হোসাইন, রাজনৈতিক সেক্রেটারি হাসান মাহবুব মাস্টার, প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান জীম, কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মোঃ তৌহিদ হোসেন, অধ্যক্ষ মোঃ লুৎফর রহমান, ইমদাদুল হক ও সাভার পৌর আমীর আজিজুর রহমান।

ড. মাদানী বলেন, “মুসলিম উম্মাহ যখন ঈদের আনন্দ উদযাপন করছে, তখন গাজা মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। ৯ জুন ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৬০ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। অথচ জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এসব বর্বরতা রুখতে ব্যর্থ হচ্ছে। এমতাবস্থায় মুসলিম বিশ্বের আর বসে থাকার সুযোগ নেই। আমাদের একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গাজায় গণহত্যা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।”

তিনি বলেন, “আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটলেও এখনো পূর্ণ বিজয় আসেনি। দেশের অর্থনীতি, সুশাসন এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণে সীমিত উন্নয়ন হলেও চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, বিচারহীনতা রয়ে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপে কিছুটা স্বস্তি এসেছে—এটি ধরে রাখতে হলে আরও দৃঢ় পদক্ষেপ প্রয়োজন।”

আরও পড়ুনঃ ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে বিএনপিকে বিজয়ী করতে হবে: ডা. শাহাদাত হোসেন

তিনি আরও বলেন, “ঈদুল আযহার আত্মত্যাগ ও একাত্মতার শিক্ষা নিয়ে আমাদের সবাইকে দেশ ও জাতি গঠনের কাজে মনোনিবেশ করতে হবে। দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আত্মনিবেদিত হয়ে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারাও “আগামী বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ যেন হয় ইসলামের আলোকে পরিচালিত একটি কল্যাণরাষ্ট্র” এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের সামনে রয়েছে চ্যালেঞ্জ ও দায়িত্ব। সবাইকে আগামী দিনের নেতৃত্বের জন্য আত্মনির্মাণে মনোনিবেশ করতে হবে।

সভার সমাপ্তি ঘোষণার আগে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে দেশের কল্যাণ, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য এবং গাজায় শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।