spot_img

― Advertisement ―

spot_img

বিদ্যাময়ী স্কুলে অভিভাবক ছাউনিতে অজ্ঞাত বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

আবুল কালাম আজাদ, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি: ময়মনসিংহ শহরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ফটকের পাশে অভিভাবকদের জন্য নির্ধারিত ছাউনিতে এক অজ্ঞাতনামা বৃদ্ধের মরদেহ...
প্রচ্ছদসারা বাংলাবিএনপির মনোনয়ন তিন যোগ্যতায় নির্ধারিত হবে

বিএনপির মনোনয়ন তিন যোগ্যতায় নির্ধারিত হবে

মোঃ আব্দুল হামিদ, মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নির্ধারিত হবে তিনটি প্রধান যোগ্যতার ভিত্তিতে: দলের প্রতি ত্যাগ, ব্যক্তিগত সততা এবং নির্বাচনি এলাকার জনসমর্থন। বিএনপির শীর্ষ মহল থেকে এই তিনটি মানদণ্ডকে সামনে রেখেই প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

দলের নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় যারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রেখেছেন, দুর্দিনে দলের পাশে থেকেছেন এবং যাদের বিরুদ্ধে কোনো অপকর্ম বা জনঅসন্তোষ নেই—এমন ব্যক্তিরাই এবার অগ্রাধিকার পাবেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, “দলের প্রতি কার কতটা ত্যাগ রয়েছে, নিঃস্বার্থভাবে দলের পাশে ছিলেন এবং সততা ও জনপ্রিয়তায় যিনি এগিয়ে আছেন, তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। জরিপের ভিত্তিতেই যোগ্য ব্যক্তি চূড়ান্ত করা হবে।”

২০১৮ সালের মতো একাধিক প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন চিঠি না দিয়ে এবার এক আসনে একজন প্রার্থীকেই বেছে নেওয়া হবে। এই নীতির কথা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ নিশ্চিত করেছেন।

তরুণ, সৎ ও জনভিত্তিসম্পন্ন প্রার্থীদের মনোনয়নে গুরুত্ব দেওয়া হবে। তবে প্রবীণদেরও দলের বৃহত্তর স্বার্থে মূল্যায়ন করা হবে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে দলের দুর্দিনে সক্রিয় নেতাদের প্রতি থাকবে বিশেষ নজর।

সূত্র জানায়, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবার থেকে এবার একাধিক সদস্য নির্বাচন করতে পারেন। এ ছাড়া জোট মিত্রদের জন্যও কিছু আসন ছাড়বে বিএনপি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতোমধ্যে কয়েক দফা জরিপ শেষ করেছেন। তার দপ্তরে নেতাকর্মীদের কর্ম-অভিযোগ ও জনপ্রিয়তার বিবরণ রয়েছে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়নপত্র বিতরণ এবং সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে চূড়ান্ত করবেন বিএনপির পার্লামেন্টারি বোর্ড, যা দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় স্থায়ী কমিটি থেকেই গঠিত হবে।

৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের পর বিএনপির রাজপথে সক্রিয়তা বাড়ে, যার প্রেক্ষাপটে দেশের প্রায় প্রতিটি আসনে আগ্রহী প্রার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে। অনেকে ইতোমধ্যে গণসংযোগ শুরু করেছেন। দলীয় সূত্র বলছে, অনেক হেভিওয়েট নেতাও মনোনয়ন বঞ্চিত হতে পারেন এবং কিছু নতুন মুখ প্রার্থী হতে পারেন যাদের নাম শুনে বিস্মিত হবেন অনেকেই।

বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, “নির্বাচন বিএনপির আন্দোলন ও সংগঠনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা নির্বাচনের জন্য সবসময় প্রস্তুত। যারা জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রাখেন, দলের আন্দোলনে ছিলেন এবং যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন—তাদেরই প্রাধান্য দেওয়া হবে।”

আরও পড়ুনঃ ময়মনসিংহে ৮ কেজি গাঁজাসহ যুবক আটক

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দুঃশাসনের সময় যেসব দল ও জোট আন্দোলনে শরিক ছিল, তাদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। দলীয় সূত্র বলছে, বিএনপি রাজনৈতিকভাবে দায়বদ্ধতা থেকেই রাজপথের সঙ্গীদের জন্য কিছু আসন ছাড়বে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় বিএনপি এবার কঠোর নীতিমালার ভিত্তিতে এগোচ্ছে। যার বিরুদ্ধে অপকর্মের প্রমাণ আছে বা মাঠে জনভিত্তি নেই—তাদের মনোনয়ন পাওয়া প্রায় অসম্ভব। অন্যদিকে, ত্যাগী, সৎ ও জনপ্রিয় প্রার্থীদের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনকে দলটি বিশ্বাসযোগ্য এবং গ্রহণযোগ্য করে তুলতে চায়।

সবমিলিয়ে এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় দেখা যেতে পারে বড় ধরনের চমক ও অভ্যন্তরীণ রদবদল—যা আগামী রাজনীতির গতিপথ অনেকটাই নির্ধারণ করবে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।