
আবুল কালাম আজাদ, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহ নগরীর বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও হামলার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক ও কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুর ১২টায় নগরীর চরপাড়া মোড়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে আয়োজিত হয় এই বিক্ষোভ মিছিল।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে তারা বলেন, “চিকিৎসা নয়, এখন বড় চ্যালেঞ্জ নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।”
বক্তারা অভিযোগ করেন, কিছু অসাধু সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ চক্র নিয়মিতভাবে শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে হুমকি, হামলা এবং অর্থ আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছে। চাঁদা না দিলে গায়ে পড়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হচ্ছে। এতে রোগীসেবা ব্যাহত হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে।
প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ডা. মো. আলী ছিদ্দিকী। সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলম চন্দন, সহ-সভাপতি শামসুদ্দোহা মাসুম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক পাপ্পুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ফিরোজ হোসেন। তিনি বলেন, “ময়মনসিংহ শহরে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি, মাস্তানি কিংবা মাদক ব্যবসা চলতে দেওয়া হবে না। অপরাধী যতই শক্তিশালী হোক না কেন, আইনের হাত থেকে রেহাই পাবে না। আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছি এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরও পড়ুনঃ রাজশাহী কলেজ ছাত্রাবাসে গাঁজা সেবনকালে তিন শিক্ষার্থী আটক, সংবাদ প্রকাশে প্রশাসনের বাধা
তিনি আরও বলেন, “পুলিশের একার পক্ষে সব সম্ভব নয়। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই ময়মনসিংহকে একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ কাজে আপনারা পাশে থাকুন।”
ক্লিনিক মালিকরা জানান, বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে রয়েছে। প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ না এলে চিকিৎসা খাত অচল হয়ে পড়বে। তাই দ্রুততম সময়ে দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান তারা।
এদিকে, কর্মসূচিতে উপস্থিত সাধারণ মানুষও ক্লিনিক মালিকদের এ দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসনের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করেন সংশ্লিষ্টরা।