
ইসমাইল ইমন, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সক্রিয় দালাল চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-৭ এর সাঁড়াশি অভিযানে ৭০ জনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ জুন) সকাল থেকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চালানো এই বিশেষ অভিযানে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়।
পরে যাচাই-বাছাই শেষে ২১ জন দালালের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান জানান, “যাদের ধরা হয়েছে, তাদের অপরাধ প্রমাণ সাপেক্ষে ২১ জনকে তাৎক্ষণিক সাজা দেওয়া হয়েছে। বাকিদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে। যদি তাদের বিরুদ্ধেও অপরাধের যথাযথ তথ্য মেলে, তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, আটককৃতদের মধ্যে কয়েকজন পূর্বে দালালি অভিযোগে সাজা ভোগ করা ব্যক্তিও রয়েছেন, যারা জেল থেকে বের হয়ে আবারও একই অপরাধে জড়িয়েছে।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতালে দালাল চক্রের তৎপরতা আমাদের জন্য মাথাব্যথার কারণ। আমরা প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি, তবে র্যাবের এই উদ্যোগ আমাদেরকে বড় সহযোগিতা করেছে। চাই এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার হোক।”
আরও পড়ুনঃ বিএনপির চক্রবদ্ধ সিন্ডিকেটে জিম্মি সোনালী ব্যাংক,দলে ভিড়ছে আওয়ামী দোসর
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহেদ ইশরাক জানান, “২১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে ১ থেকে ৩০ দিনের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ পুরনো অপরাধী, যারা বারবার একই অপরাধে জড়াচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের সাজা প্রদান করেছে।”
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে চমেক হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির দালাল নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল। তারা বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ওষুধ কোম্পানির হয়ে রোগীদের প্রভাবিত করত।
এই অভিযানের মাধ্যমে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে একটি কার্যকর বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। র্যাব এবং জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়।