শাহাব উদ্দিন, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটিতে অভ্যন্তরীণ বিরোধ চরমে পৌঁছেছে। দলের একজন যুগ্ম সমন্বয়কারীকে প্রকাশ্যে লাথি মারার ঘটনায় অপর যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সাজুকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তা তিন দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
এ ঘটনা ঘটেছে বুধবার (২৫ জুন) রাতে নগরীর রানীবাজার এলাকায়। জানা যায়, জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলামের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁয় নেতাদের বৈঠকের সময় হঠাৎ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নাহিদুল ইসলাম সাজু আরেক যুগ্ম সমন্বয়কারী ফিরোজ আলমকে বুকে লাথি মারেন। এ ঘটনায় আহত ফিরোজ আলম পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হন।
ঘটনার পরপরই নাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে পরদিন এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, বিষয়টি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ ছিল এবং তা ‘সমাধান হয়ে গেছে’। তিনি বলেন, “আমি ফিরোজ ভাইয়ের কাছে যাচ্ছি, সমস্যা নেই।”
তবে দলের কেন্দ্রীয় দপ্তরের যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাতের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়, নাহিদুল ইসলামকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং দলের শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল-আমিনের কাছে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে এই ঘটনার রেশ ধরেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম। বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, “আমি অসুস্থ, এখন কিছু বলার অবস্থায় নেই।”
আরও পড়ুনঃ লালমনিরহাটে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২
দলীয় সূত্র জানায়, ঘটনার সূত্রপাত হয় একে অপরকে ‘আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের’ অভিযোগে দোষারোপ করার পর। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের একপর্যায়ে লাথির ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা বিষয়টিকে রাজনৈতিক শিষ্টাচারের চরম লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন।
এনসিপির শৃঙ্খলা রক্ষায় এই ঘটনাকে বড় ধরনের পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। দলীয় ভেতরের এই ধরণের সংঘাতের পরিণতি কী দাঁড়ায়, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।