মোঃ আব্দুল আলিম, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (মিটফোর্ড) এলাকায় প্রকাশ্যে পাথর দিয়ে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে রাজশাহীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহীর জিরো পয়েন্ট থেকে মিছিল শুরু হয়ে রাজশাহী কলেজ সড়ক, আলুপট্টি মোড় হয়ে পুনরায় জিরো পয়েন্টে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয় শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবাদ মিছিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তোলেন। “আমার সোনার বাংলায়, খুনিদের ঠাঁই নাই”, “এক দুই তিন চার, চাঁদাবাজ দেশ ছাড়”, “আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে?”, “নৌকা আর ধানের শীষ দুই সাপের এক বিষ”, “আমার ভাইয়ের রক্ত লাল, যুবদল কোন চ্যাটের বাল”, “লীগ গেছে যেই পথে, দল যাবে সেই পথে”— এমন স্লোগান ধ্বনিত হয় পুরো পথজুড়ে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশের মানুষ আশা করেছিল ইনসাফভিত্তিক এক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু এখনো যেভাবে খুন, চাঁদাবাজি ও ফ্যাসিবাদী দমনপীড়ন চলছে, তা সেই স্বপ্নের পরিপন্থী। মিটফোর্ডে যে নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা শুধু একটি ব্যক্তির হত্যাই নয়—এটি নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের পথে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা।”
আরও পড়ুনঃ ছাত্রদল এবং বিএনপি থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে পদত্যাগ ছাত্রদল কর্মীর
তারা বলেন, “আমরা সবাই জানি, অভ্যুত্থানের এক বছরের মধ্যেই কত ধরনের নৃশংসতা প্রত্যক্ষ করেছি। কিন্তু আমরা ভীত নই। জুলাই এখনো মরে যায়নি, আমরা এখনো মাঠে আছি। এই জুলাই থেকেই অন্যায়, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি এবং স্বৈরতন্ত্রকে নির্মূল করা হবে।”
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, “এই দেশে রাজনৈতিক পরিচয়ের নামে কেউ অপরাধ করলে তাকে ছাড় দেওয়া যাবে না। দল দেখে বিচার করলে ইনসাফ আসে না। সকল অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যাসিবাদ আর কোনোদিন যেন এ দেশে ফিরে না আসে—আমরা সেই লড়াইয়ে আছি, থাকব।”
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খালেদ হাসান মিলু, নাহিদ ইসলাম সাজু, সালমা সুলতানা, মায়া ও আঞ্জুমানারা আরসি প্রমুখ। বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।