spot_img

― Advertisement ―

spot_img

নালিতাবাড়ীতে কলেজে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগে উত্তপ্ত পরিস্থিতি—আটক ১৮

জায়েদ মাহমুদ রিজন নালিতাবাড়ি প্রতিনিধিঃ শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একটি বেসরকারি কলেজে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে।মঙ্গলবার (১৫...
প্রচ্ছদসারা বাংলানালিতাবাড়ীতে কলেজে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগে উত্তপ্ত পরিস্থিতি—আটক ১৮

নালিতাবাড়ীতে কলেজে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগে উত্তপ্ত পরিস্থিতি—আটক ১৮

জায়েদ মাহমুদ রিজন নালিতাবাড়ি প্রতিনিধিঃ শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একটি বেসরকারি কলেজে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) উপজেলার হাজী নুরুল হক নন্নী-পোড়াগাঁও মৈত্রী কলেজে এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত একজন শিক্ষার্থী আহত হন এবং দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৮ জনকে আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কলেজে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা চলাকালে নন্নী উত্তরবন্দ গ্রামের পরীক্ষার্থী ফরহাদ ও খালভাঙ্গা এলাকার অপর শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম আকাশের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এতে আকাশ বেঞ্চে পড়ে আঘাত পান। এই ঘটনার প্রতিবাদ করে ফরহাদের বন্ধু শাকিল। এরপর কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুক্তারকে খবর দেন আকাশ। কিছুক্ষণ পর বহিরাগতদের একটি দল কলেজে এসে শাকিলকে মারধর ও ক্ষুরাঘাত করে আহত করে।

সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত এলাকাবাসী বহিরাগতদের ঘেরাও করে এবং কলেজ অফিসকক্ষে আশ্রয় নেওয়া ছাত্রনেতাদের দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহূর্তেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে এবং কলেজ প্রাঙ্গণ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

ঘটনার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ অভিযোগ করেন, শহর থেকে বহিরাগত শিবির ও পতিত সরকারের কিছু সমর্থক কলেজে এসে শিক্ষার্থী শাকিলকে রক্তাক্ত জখম করে। তিনি বলেন, “আমাদের স্থানীয় পরীক্ষার্থীকে মারধর করে বহিরাগতরা গণ্ডগোল পাকিয়েছে।”

অন্যদিকে কলেজের প্রভাষক হারুন অর রশিদ জানান, “বেঞ্চে বসাকে কেন্দ্র করে প্রথমে দু’জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সামান্য কথাকাটাকাটি হয়। আমরা তা সমাধানের চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে বহিরাগতরা এসে আমাদের ছাত্রদের ওপর অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে হামলা চালায়।” তিনি জানান, এ ঘটনায় কলেজের পক্ষ থেকে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই।

আরও পড়ুনঃ নারী শিক্ষার্থী হেনস্তায় ইবির ছাত্রদল ও শিবিরের নিন্দা 

সংঘর্ষের পর কয়েক ঘণ্টা ছাত্রনেতারা কলেজ অফিসকক্ষে অবরুদ্ধ থাকেন। পরে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও সহকারী পুলিশ সুপার আফসানা আল আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আফসানা আল আলম বলেন, “বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়ভাবে আলোচিত এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ এবং রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে নানা প্রশ্নও উঠেছে। তবে পুলিশ ও কলেজ প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কথা জানিয়েছেন।