spot_img

― Advertisement ―

spot_img

সাংবাদিকের ওপর হামলা: ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও সিএমইউজের

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে সাংবাদিক হোসাইন জিয়াদ ও ক্যামেরাপারসন পারভেজের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন...
প্রচ্ছদসারা বাংলাতারুণ্যের শক্তিতে আগামীর বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ: ডা. শাহাদাত হোসেন

তারুণ্যের শক্তিতে আগামীর বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ: ডা. শাহাদাত হোসেন

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে যে কোনো অসাধ্য সাধন করা সম্ভব। বাংলাদেশের তরুণরা সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সাহসিকতার সঙ্গে অংশ নিয়ে প্রমাণ করেছে, তারা অধিকার রক্ষায় কখনোই পিছপা নয়। তাদেরই শক্তিতে আগামীর বাংলাদেশ বিশ্ব নেতৃত্বে উঠে আসবে।

শনিবার (২ আগস্ট) বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর ওয়াসা মোড়স্থ প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির সেন্ট্রাল অডিটোরিয়ামে ইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সিটি ওয়ার্কিং কমিটির জেনারেল কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি আন্দোলনেই তরুণদের ভূমিকা ছিল অনন্য। আজকের তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণ করবে। তাদের জন্য দরকার দেশপ্রেম, আদর্শ ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি।”

সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল—“নেতৃত্বে তারুণ্য: নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা।”

মেয়র ডা. শাহাদাত আরও বলেন, “ইয়ুথ ভয়েসের মতো সংগঠনগুলো তারুণ্যকে সঠিক পথে পরিচালনার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। আমি তাদের প্রশংসা করি। তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে দেশের টেকসই উন্নয়নে, প্রযুক্তি ও শিক্ষা খাতে। তরুণরা শুধু সমালোচনা না করে, সমাধানমূলক চিন্তা করলেই বাংলাদেশ হবে বিশ্বদরবারে গর্বের নাম।”

তিনি হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর তরুণ বয়সের সমাজ পরিবর্তনের আন্দোলন ‘হিলফুল ফুজুল’-এর কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, “শহীদ জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছেন তরুণ বয়সে, আর বেগম খালেদা জিয়া রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাত্র ৩৫ বছর বয়সে। ইতিহাসে তারুণ্য সবসময়ই অগ্রণী ছিল।”

বর্তমান বাস্তবতায় দেশের তরুণদের মনোভাব বদলানো জরুরি উল্লেখ করে মেয়র বলেন, “প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ তরুণের দেশ বাংলাদেশ। অনেকে মনে করে, এই দেশ তাদের জন্য নিরাপদ নয়। সেই ধারণা বদলাতে হবে। দেশপ্রেম, সততা ও আত্মত্যাগে উদ্দীপ্ত হয়ে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।”

নিজ উদ্যোগে নেওয়া ‘ক্লিন, গ্রিন, হেলদি এবং সেফ চট্টগ্রাম’ প্রকল্প বাস্তবায়নে তরুণদের পাশে চাওয়ার প্রত্যাশা জানিয়ে মেয়র বলেন, “ইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশ এ যাত্রায় আমার পাশে থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

এ সম্মেলনে চট্টগ্রামের ৪২টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্বাচিত ১৪৫ জন তরুণ প্রতিনিধি এবং প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন। তারা ছিলেন উদীয়মান আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, উদ্যোক্তা ও সমাজকর্মী, যারা নেতৃত্বগুণে সমৃদ্ধ নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বুকে ধারণ করে এগিয়ে চলছেন।

আরও পড়ুনঃ কুকুরের আক্রমণে নিরাপত্তা শঙ্কায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার তারেক আকবর খোন্দকার।

প্রধান বক্তা ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ফরিদ এ সোবহানী। বিশেষ বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আইন কর্মকর্তা ব্যারিস্টার শাহনেওয়াজ মুনির এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদ্য সাবেক সভাপতি ডা. মুনিরা তারেক খোন্দকার, সাধারণ সম্পাদক আরেফিন বিল্লাহ, বর্তমান কমিটির কো-অর্ডিনেটর মো. আশিকুর রহমান, প্রথম কমিটির সভাপতি চৌধুরী কে এন এম রিয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান আলী চৌধুরী, ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীরসহ আরও অনেকে।

সমাপনী বক্তব্যে ব্যারিস্টার তারেক আকবর খোন্দকার বলেন, “তরুণদের উচিত শুধু পুঁথিগত বিদ্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে নৈতিকতা, আদর্শ ও দায়িত্ববোধে উজ্জীবিত হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করা।”

বক্তারা ইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশের এই উদ্যোগকে যুব নেতৃত্ব বিকাশ ও সামাজিক দায়বদ্ধতা তৈরির এক মাইলফলক হিসেবে আখ্যা দেন। তারা বলেন, নেতৃত্ববান, মানবিক ও সচেতন যুবসমাজই আগামীর বাংলাদেশকে একটি উন্নত, শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারে।