spot_img

― Advertisement ―

spot_img

রামগঞ্জে ছাত্রদলের সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

মোঃ মাসুদ রানা মনি, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হামলার অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন একই ইউনিয়নের ৭...
প্রচ্ছদসারা বাংলাসেতুর ওপর বাঁশের সাঁকো, দুই বছর ধরে ভোগান্তিতে সাত গ্রামের মানুষ

সেতুর ওপর বাঁশের সাঁকো, দুই বছর ধরে ভোগান্তিতে সাত গ্রামের মানুষ

মোঃ মাসুদ রানা মনি, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ দুই বছর আগে ভেঙে পড়েছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের গনিপুর এলাকার রহমতখালী খালের ওপর নির্মিত সেতুটি। কিন্তু এখনও মেরামতের উদ্যোগ না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে ওই সেতুর ভাঙা অংশে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন দুই জেলার সাত গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। এতে প্রতিদিনই চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থী, নারী, শিশু ও রোগীরা। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় যাতায়াতে বাড়ছে সময় ও খরচ।

জানা গেছে, ২০০৮ সালে এলজিইডির অর্থায়নে গনিপুর ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার সংযোগস্থলে কামার বাড়ি সড়কের ওপর লোহার স্প্যানের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে একটি মাটিবাহী ট্রাকসহ সেতুর মধ্যাংশ ধসে পড়ে খালের মধ্যে। এরপর থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দুই জেলার মধ্যে সংযোগ সড়কটি।

স্থানীয়দের অর্থায়নে তৈরি করা হয় একটি অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো, যা দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিশু-কিশোরদের বিদ্যালয়ে যাতায়াত, কৃষকদের মাঠে যাওয়া এবং নানা জরুরি প্রয়োজন মেটানো। তবে বর্ষায় সাঁকোটি আরও নড়বড়ে হয়ে যায়, ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

স্থানীয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গনিপুর, রাজাপুর, ছোট বল্লভপুর, আমানুল্লাহপুর, কামালপুর, দেবীদেবপুর ও বালুচরা গ্রামের অন্তত ৫-৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হয় এই সড়ক দিয়ে। গনিপুর থেকে বালুচরার ইব্রাহিম মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, হাসানিয়া আলিম মাদরাসা, সমাজকল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে গিয়ে অন্তত ১২ শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে খালে পড়ে আহত হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দা আলেয়া বেগম বলেন, “সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই আমরা কষ্টে আছি। বাচ্চারা ভয় পেয়ে স্কুলে যেতে চায় না।”

শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, “বৃষ্টি হলে সাঁকো আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স আসতে পারে না, রোগীদের নিয়ে ঘুরপথে হাসপাতালে যেতে হয়।”

আরও পড়ুনঃ সাজিদ হত্যায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, সন্ধ্যায় জরুরি সিন্ডিকেটঃ ইবি উপাচার্য 

৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোফাচ্ছেল হোসেন মশু বলেন, “সেতুটি ভেঙে পড়ার দুই বছর পার হলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। এখানে অন্তত সাত গ্রামের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের যাতায়াতই সবচেয়ে কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকরামুল হক বলেন, “ভাঙা সেতুটি সংস্কারের জন্য কয়েকটি সড়ক প্রকল্পের সঙ্গে একত্রে বরাদ্দের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। বরাদ্দ পেলেই টেন্ডার করা হবে, এরপর কাজ শুরু হবে।”

সেতু পুনর্নির্মাণের দীর্ঘসূত্রতা ও অনিশ্চয়তায় হতাশ স্থানীয়রা। তারা দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে টেকসই সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।