spot_img

― Advertisement ―

spot_img

সাভারে দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আনোয়ার হোসেন র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার

মোঃ আসিফুজ্জামান আসিফ, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ সাভারে র‌্যাব-৪ এর অভিযানে ধরা পড়েছে দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আশুলিয়া থানা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি ও একাধিক মামলার আসামি আনোয়ার হোসেন...
প্রচ্ছদসারা বাংলাআশুলিয়ায় যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান: ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামিসহ ৮ জন গ্রেপ্তার

আশুলিয়ায় যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান: ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামিসহ ৮ জন গ্রেপ্তার

মোঃ আসিফুজ্জামান আসিফ, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ ঢাকার উপশহর আশুলিয়ায় যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামিসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে আশুলিয়ার জামগড়া, রূপায়ণ মাঠ ও ভাদাইল এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, মাদক ও চোরাই মালামালও উদ্ধার করা হয়েছে।

অভিযান শেষে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল হান্নান সাংবাদিকদের জানান, “সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনীর একটি দল একযোগে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এতে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. আল আমিন মন্ডলসহ মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।”

গ্রেপ্তারকৃত অপর ব্যক্তিরা হলেন—জুনায়েদ হাসান জুনু (অস্ত্র মামলার পলাতক ও অবৈধ জুয়া লটারির মূল হোতা), কিশোর গ্যাং সদস্য রোমান ইসলাম, মো. স্বপন, রাফিউল ইসলাম রকি, মনির হোসেন, ইয়ামিন হোসেন এবং নুরুল হক।

আরও পড়ুনঃ এক ফার্মাসিস্টের ভরসায় ৭০ হাজার মানুষের চিকিৎসা – রাজশাহীর চরের স্বাস্থ্যব্যবস্থার করুণ চিত্র

ওসি আরও জানান, অভিযানের সময় আসামিদের হেফাজত থেকে ২০টিরও বেশি দেশীয় অস্ত্র, একটি ইলেকট্রিক শকার, দুইটি চোরাই মোটরসাইকেল, পাঁচটি মোবাইল ফোন, ১০টি সিমকার্ড এবং বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন, “গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও চোরাচালানসহ একাধিক ধারায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযানে অংশগ্রহণকারী বাহিনী এলাকায় অবস্থান নেওয়ার পর আসামিদের কেউ কেউ পালানোর চেষ্টা করলে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে আটক করা হয়।”

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল। তাদের গ্রেপ্তারের খবরে সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধ দমনে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর নজরদারি বজায় রাখা হবে।