
পাভেল ইসলাম মিমুল, স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র, গুলি ও বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন— কোচিং সেন্টার মালিক মোন্তাসেবুল আলম (অনিন্দ্য), মো. রবিন ও মো. ফয়সাল। এ ঘটনায় অস্ত্র অনুসন্ধানে পাশের পুকুরে নেমে তল্লাশি চালাচ্ছেন ডুবুরিরা। শনিবার বেলা তিনটায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ডুবুরিদের অনুসন্ধান চলছিল।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কাদিরগঞ্জ এলাকার ‘ডক্টর ইংলিশ’ কোচিং সেন্টার ঘিরে রাখে সেনাসদস্যরা।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সেনাবাহিনীর ৪০ ইস্ট বেঙ্গল (মেকানাইজড) এর একটি দল এ অভিযান শুরু করে। অভিযানকে ঘিরে কাদিরগঞ্জ এলাকার সড়কও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সেনা ক্যাম্পের কমান্ডারের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দীর্ঘ এক মাসের গোয়েন্দা নজরদারির পর এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে উদ্ধার হওয়া জিনিসের মধ্যে রয়েছে— তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি, সামরিক মানের দূরবিন ও স্নাইপার স্কোপ, ছয়টি দেশি অস্ত্র, সাতটি বিদেশি ধারালো ড্যাগার, পাঁচটি উন্নত মানের ওয়াকিটকি সেট, একটি সামরিক জিপিএস, একটি টিজারগান, বিপুলসংখ্যক দেশি-বিদেশি কার্টিজ, অব্যবহৃত সিমকার্ড, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ছয়টি কম্পিউটার সেট, ৭ হাজার ৪৪৫ টাকা, বিভিন্ন দেশি-বিদেশি মদ ও ১১টি নাইট্রোজেন কার্টিজ। উদ্ধারকৃত বিস্ফোরক তাজা অবস্থায় ছিল, যা পরে বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট নিষ্ক্রিয় করে।
আরও পড়ুনঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
আটক মোন্তাসেবুল আলম রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শফিউল আলমের (লাট্টু) ছেলে। তাঁদের বাড়ির নিচতলায়ই ‘ডক্টর ইংলিশ’ কোচিং সেন্টারের অবস্থান। মোন্তাসেবুল রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের আত্মীয়। উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক রেজাউল করিম হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মোন্তাসেবুল, তবে পরে মামলা থেকে অব্যাহতি পান।
এদিকে অভিযানের সময় আটক রবিনের মা নাসরিন বেগম এসে কান্নাকাটি শুরু করেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর ছেলে কিছুই জানে না। মাত্র এক মাস আগে রবিন ওই কোচিং সেন্টারে ঘর ধোয়া-মোছার কাজ শুরু করে।