spot_img

― Advertisement ―

spot_img

বৃষ্টির মধ্যেই নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত রাজশাহী, স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ অবিরাম বৃষ্টির ঝরনা উপেক্ষা করে রাজশাহীতে জাঁকজমকভাবে পালিত হলো জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দীর্ঘ ১৭ বছর পর...
প্রচ্ছদসারা বাংলারাজশাহীতে শিক্ষাবোর্ড কর্মচারীর দখলে জনসাধারণের রাস্তা, এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরমে

রাজশাহীতে শিক্ষাবোর্ড কর্মচারীর দখলে জনসাধারণের রাস্তা, এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরমে

মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহী নগরীর হেতম খাঁ কলা বাগান মহল্লায় জনসাধারণের চলাচলের জন্য নির্ধারিত রাস্তা বেআইনিভাবে দখল করে দেয়াল তুলে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের কর্মচারী জাকারিয়া হোসেন নয়নের বিরুদ্ধে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, সিটি কর্পোরেশন পূর্বে এ পথকে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা হিসেবে নির্ধারণ করলেও নয়ন জোরপূর্বক দেয়াল তুলে তা বন্ধ করে দেন।

ভুক্তভোগীরা জানান, এ ঘটনায় গত ৩ আগস্ট বোয়ালিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর ৮ আগস্ট শুক্রবার থানার ওসি উভয় পক্ষকে নিয়ে মীমাংসার আহ্বান জানান। কিন্তু সেখানে নয়ন দলবল নিয়ে হাজির হয়ে মামলাটি আদালতে পাঠানোর হুমকি দেন এবং প্রকাশ্যে ওসিকে অপমান করে থানার কক্ষ ত্যাগ করেন।

পরে ভুক্তভোগীরা বোয়ালিয়া এসিল্যান্ড অফিসে অভিযোগ করলে এসি ল্যান্ড সরকারি আমিন ও সার্ভেয়ার দিয়ে জমি মাপার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ১৭ আগস্ট নয়ন লোকজন নিয়ে সরকারি কাজে বাধা দেন এবং কর্মকর্তাদের বাধ্য করেন কাজ বন্ধ করতে।

এলাকাবাসীর দাবি, নয়নের প্রকৃত জমি অন্যত্র হলেও তিনি জোরপূর্বক জনগণের রাস্তা দখল করেছেন। জমি মাপঝোক হলে তার অবৈধ দখল প্রমাণিত হবে বলেই তিনি বাধা দেন। সাবেক কাউন্সিলর আব্বাস আলী জানান, “গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে স্থানটি আগে থেকেই জনগণের চলাচলের রাস্তা হিসেবে নির্ধারিত ছিল। কিন্তু নয়ন ভোরের আযানের সময় হঠাৎ দেয়াল তুলে দেন।”

অভিযুক্ত নয়ন অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, জমিটি যৌথভাবে ঘেরা হয়েছে। তবে যাদের নাম তিনি যৌথ মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন, তাদের পরিবার বিষয়টিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ডাকসু নির্বাচন: শিবিরের ২৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা

এদিকে এসি ল্যান্ড জানান, “সরকারি কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারায় সরকারি কাজে বাধা দিলে তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা হতে পারে। দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় সরকারি আদেশ অমান্য করলে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা হতে পারে। দণ্ডবিধির ৪৩০ ধারায় জনগণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করাকে জনস্বার্থবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া পৌর আইন ২০০৯ (ধারা ৫৬) অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত রাস্তা দখল করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এলাকাবাসী অবিলম্বে অবৈধ দেয়াল ভেঙে রাস্তা উন্মুক্ত করা এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।