spot_img

― Advertisement ―

spot_img

বন্দর এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক ভবন নির্মাণের অভিযোগ

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ বানিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের বন্দর থানাধীন ওয়াসীল চৌধুরীর বাড়ি দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক ভবন নির্মাণের অভিযোগ...
প্রচ্ছদসারা বাংলাচট্টগ্রামে ‘নগরফুলের এক দশক পূর্তি উৎসব’ অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রামে ‘নগরফুলের এক দশক পূর্তি উৎসব’ অনুষ্ঠিত

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিশুদের নিয়ে কাজ করা সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নগরফুল প্রতিষ্ঠার এক দশক পূর্ণ করেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, সামাজিক সচেতনতা ও মানবিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ ভূমিকা রেখে সংগঠনটি সমাজে ইতোমধ্যেই একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

শুক্রবার (২২ আগস্ট)বিকেলে এই উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয় “নগরফুলের এক দশক পূর্তি উৎসব”।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (ক্রাইম) হূমায়ুন কবির, নগরফুলের উপদেষ্টা মোস্তাক হোসাইন, কোহিনূর কামাল, কামরুজ্জামান লিটন, সাঈদ মিল্কি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডেভ ডোলান্ড, সাজিনাজ হাসপাতালের পরিচালক হাসান মাহমুদ চৌধুরী এবং লায়ন জেলা রিজিওন চেয়ারপার্সন লায়ন ওসমান গনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নগরফুলের সভাপতি মোহিমানুর রহমান মাহিম এবং সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য রাশেদা আক্তার ইমু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “নগরফুলের মতো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সমাজের অবহেলিত শিশুদের জন্য আশার আলো হয়ে কাজ করছে। এমন উদ্যোগ সমাজকে বদলে দিতে পারে। আমি বিশ্বাস করি, আগামী দিনগুলোতে নগরফুল আরও বৃহৎ পরিসরে সমাজ উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।”

এসময় প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বায়েজিদ সুমন নগরফুলের এক দশকের পথচলার গল্প, অর্জন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “গত দশ বছরে নগরফুল শিক্ষা কার্যক্রম, স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি ও সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে শত শত শিশু ও পরিবারকে সহায়তা করেছে। এই সাফল্যের কৃতিত্ব নগরফুলের প্রতিটি স্বেচ্ছাসেবক, শুভানুধ্যায়ী ও দাতাদের।”

আরও পড়ুনঃ মেহেরপুরে সাবু খেতে গিয়ে শিশুর করুণ মৃ’ত্যু

অনুষ্ঠানে “এক দশক পূর্তি ম্যাগাজিন” এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের সাথে যুক্ত থেকে অবদান রাখা স্বেচ্ছাসেবক ও শুভানুধ্যায়ীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। পরে নগরফুলের শিশুরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়, যা উপস্থিত সবার মন জয় করে নেয়।

অতিথিরা তাঁদের বক্তব্যে বলেন, নগরফুল শুধু একটি সংগঠন নয়; এটি একটি পরিবার, যা সমাজের অবহেলিত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। তারা আশা প্রকাশ করেন, আগামীতেও নগরফুল শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি ও মানবিক কর্মকাণ্ডে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

দীর্ঘ এক দশকের পথচলায় নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টিকে থাকা নগরফুল ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।