
জায়েদ মাহমুদ রিজন নালিতাবাড়ি প্রতিনিধিঃ শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বন্দনা চাম্বুগং-এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি আওয়ামী লীগের প্রভাব ব্যবহার করে নিরীহ মানুষের জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, এরই অংশ হিসেবে গত বছরের ৩০ আগস্ট ডালুকোনা গ্রামের মো. মাইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে জমি ভোগদখলের অভিযোগ এনে তিনি সিআর আমলী আদালতে (মোকদ্দমা নং–৪০৯/২০২৩) মামলা করেন। ওই মামলার স্বাক্ষী হিসেবে জীবিতা মারাক, দুরেন্দ্র মারাক, উলেন্দ্র মারাক, মো. হাসু মিয়া ও কোপেন্দ্র নকরেকের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হলেও তারা আদালতে গিয়ে জানান, মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো, তাই তারা কোনো মিথ্যা স্বাক্ষ্য দেবেন না।
এরপর চলতি বছরের ১৭ জুলাই নতুন করে আরেকটি মামলা (মোকদ্দমা নং–৬০৭/২০২৫) করেন বন্দনা চাম্বুগং। এবার আসামির তালিকায় রাখা হয় আগের মামলার স্বাক্ষী জীবিতা মারাক, সুমন মারাক, দুরেন্দ্র মারাক, উলেন্দ্র মারাকসহ মোট ১০ জনকে।
৩ নম্বর আসামি লিটন হাজং অভিযোগ করে বলেন, “বন্দনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হয়রানিমূলক মামলা করেছে। তিনি স্বৈরাচারী স্বভাবের এবং দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন। আমরা তার জুলুম থেকে মুক্তি চাই।”
আরও পড়ুনঃ নালিতাবাড়ীতে ছাত্রদল নেতা আশিক মাহমুদ ইয়াবাসহ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার
৬ নম্বর আসামি জীবিতা মারাকের স্বামী সুমন মারাক বলেন, “বন্দনা আমার স্ত্রীকে শেরপুর নিয়ে গিয়ে জমি খারিজের কথা বলে একটি এফিডেভিটে সই করান। পরে জানতে পারি, আমাদের প্রায় ৪ একর ৯২ শতাংশ জমি জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে তিনি নিজের নামে লিখিয়ে নিয়েছেন। এখন আবার মিথ্যা মামলা করেছেন। তিনি প্রতারক ও অত্যাচারী।”
এ বিষয়ে পোড়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মজিবুর রহমান চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, “বন্দনা পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে এলাকাবাসীর উপর দীর্ঘদিন ধরে জুলুম করছে। কে তাকে এত শক্তি দিচ্ছে আমরা জানি না। সাধারণ মানুষের প্রতি অন্যায়ের বিচার চাই।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বন্দনা চাম্বুগং সংক্ষেপে বলেন, “সবই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।”