
মোঃ বিপুল মিয়া, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পুরোনো কায়দায় সিঁদ কেটে চুরির ঘটনা বেড়েছে। পাশাপাশি ছিচকে চোরের হাত থেকে রেহাই মিলছে না মসজিদের মাইকের মেশিন, ব্যাটারি, সোলারের ব্যাটারি, বৈদ্যুতিক পাম্প কিংবা নামাজরত মুসল্লীর বাইসাইকেলও। একের পর এক চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে পুলিশ বলছে, চুরি দমনে তাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলা সদরের বিদ্যাবাগিশ গ্রামে দুটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে।
ওই এলাকার স্কুল শিক্ষক ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি গোলাম মর্তুজা বকুল জানান, তার প্রতিবেশী মিথুন চন্দ্র ও সন্তোষ চন্দ্র রায়ের বাড়িতে চোরেরা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও স্মার্ট মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে।
এর আগে থানার পাশেই অবস্থিত শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে দুই দিন পরপর চুরি হয়েছে। প্রথম দিন তালা ভেঙে ১২টি সিলিং ফ্যান এবং পরদিন আবার ৪টি ফ্যান চুরি হয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হলেও এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
একই রাতে উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের রাবাইতারী গার্লস স্কুল সংলগ্ন আব্দুস সোবহান মুন্সীর বাড়িতেও সিঁদ কেটে নগদ ৩০ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায় চোরেরা। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বড়ভিটা ইউনিয়নের ঘোগারকুটি গ্রামে আটটি বাড়িতে একসাথে চুরি হয়। চোরেরা সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। গত ৩১ আগস্ট রাতেও ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের রামরামসেন এলাকায় ছয়টি বাড়িতে একইভাবে চুরি হয়।
আরও পড়ুনঃ প্রবীণদের যত্নে নবীনদের এগিয়ে আসতে হবে: মেয়র শাহাদাত
সম্প্রতি ছিচকে চোরদের টার্গেটে রয়েছে মসজিদের ওযুখানার বৈদ্যুতিক পাম্প, চার্জে রাখা অটোরিকশার ব্যাটারি ও চার্জার, রান্নাঘরের রাইস কুকার, প্রেসার কুকার, গ্যাসের চুলা, গ্যাস সিলিন্ডারসহ কৃষকের শ্যালো মেশিন ও বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প।
এ অবস্থায় স্থানীয়রা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। বড়ভিটা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ নূর মোহাম্মদ মিয়া বলেন, “চোরের এমন উপদ্রব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিকে স্পষ্ট করে। একের পর এক চুরির ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। পুলিশকে আরও কঠোর হতে হবে।”
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকত আলী জানান, চুরি ও অপরাধ দমনে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। চেকপোস্টে তল্লাশি, টহল এবং জরুরি সেবা চালু আছে। তবুও কিছু এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটছে। তিনি বলেন, “এসব ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে অপরাধ দমন করা অনেক সহজ হবে।”