spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদসারা বাংলাবরেন্দ্র অঞ্চলের পানিসংকট নিরসনে বাপার আলোচনা সভা

বরেন্দ্র অঞ্চলের পানিসংকট নিরসনে বাপার আলোচনা সভা

মোঃ আব্দুল আলিম, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ উত্তর জনপদের রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জুড়ে অবস্থিত বরেন্দ্র অঞ্চল এখন তীব্র পানিসংকটে ভুগছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দ্রুত নিচে নেমে যাওয়া, নদী-নালা আগেভাগেই শুকিয়ে যাওয়া এবং বৃষ্টির অনিয়মিত প্রবাহের কারণে কৃষি, গৃহস্থালি ও দৈনন্দিন জীবনে পানি সংকট ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করছে।

এই সংকট মোকাবিলার উপায় খুঁজতে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় রাজশাহী কলেজের ১৭ নম্বর গ্যালারিতে “সময়ের ভাবনা ও রাজশাহী জেলা” শীর্ষক সাধারণ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) রাজশাহী জেলা কমিটি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাপার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. আফজাল হোসেন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাপার কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবির।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মু. যহুর আলী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ইব্রাহীম আলী, বাপার রাজশাহী কমিটির সভাপতি মো. জামাত খানসহ কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পরিবেশকর্মীরা।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষি এখন পুরোপুরি পানিনির্ভর। টিউবওয়েলনির্ভর সেচ ভূগর্ভস্থ পানির ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করছে। ফলে বিকল্প পানির উৎস খোঁজা জরুরি হয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে বৃক্ষনিধন বন্ধ, ব্যাপক বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ রক্ষায় তরুণ সমাজকে সম্পৃক্ত করার ওপর জোর দেন তারা।

আরও পড়ুনঃ ফুলবাড়ীতে দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা

প্রধান আলোচক মো. আলমগীর কবির বলেন, “বরেন্দ্র অঞ্চলের পানিসংকটের মূল কারণ নির্বিচারে বৃক্ষনিধন ও অনিয়ন্ত্রিত নগরায়ণ। একসময় পদ্মা নদী সারা বছর পানি ধরে রাখত, আজ শুধু বর্ষায় পানি থাকে। এতে প্রমাণ হয় পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ। পরিবেশ রক্ষা করতে না পারলে আগামী প্রজন্ম বিপদের মুখে পড়বে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “যুব সমাজ চাইলে পরিবেশ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে পারে। যেমন জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল, তেমনি পরিবেশ রক্ষায়ও তাদের ঐক্য অপরিহার্য।”

প্রধান অতিথি প্রফেসর মু. যহুর আলী বলেন, “পানিসংকট নতুন কোনো সমস্যা নয়, বরেন্দ্র অঞ্চলে এটি দীর্ঘদিনের। তবে এখন এটি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হবে ব্যাপক বৃক্ষরোপণ। বৃক্ষ মাটিতে পানি ধরে রাখে, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে।”