spot_img

― Advertisement ―

spot_img

সাংবাদিকের ওপর হামলা: ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও সিএমইউজের

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে সাংবাদিক হোসাইন জিয়াদ ও ক্যামেরাপারসন পারভেজের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন...
প্রচ্ছদসারা বাংলাশহীদ জিয়ার খাল খনন কর্মসূচি ছিল অর্থনৈতিক মুক্তির দর্শন — ডা. শাহাদাত...

শহীদ জিয়ার খাল খনন কর্মসূচি ছিল অর্থনৈতিক মুক্তির দর্শন — ডা. শাহাদাত হোসেন

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেম, সততা এবং অর্থনৈতিক মুক্তির দর্শন আজও সমান প্রাসঙ্গিক। তিনি বলেন, জাতীয় অর্থনীতির ভিত্তি কৃষি, গার্মেন্টস ও মানবসম্পদ উন্নয়নের যে নীতি শহীদ জিয়া গ্রহণ করেছিলেন, তা-ই আজকের সংকট উত্তরণের মূল চাবিকাঠি। শহীদ জিয়ার নির্দেশিত কৃষি বিপ্লব বাংলাদেশকে খাদ্য স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে নিয়েছিল।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) চন্দনাইশের হারলা গ্রামে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৮০ সালে বরুমতি খাল খননের সময় বিশ্রাম নেওয়া সেই ঐতিহাসিক স্মৃতিফলক পুনঃনির্মাণ ও নবনির্মিত বৈঠকখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কৃষি উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে সারা দেশে যে খাল খনন কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন, তারই অংশ হিসেবে তিনি চন্দনাইশের হারলা গ্রামের বরুমতি খালের উদ্বোধন করেছিলেন। এই কর্মসূচি ছিল ঐতিহাসিক, যা কৃষিকে জনপর্যায়ে জনপ্রিয় করার পাশাপাশি দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সরাসরি ভূমিকা রেখেছিল।”

স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “কালের বিবর্তনে শহীদ জিয়ার স্থাপিত স্মৃতিফলকটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আজ পুনঃনির্মিত এই স্মৃতিফলক ও বৈঠকখানা আমাদের ইতিহাসকে নতুন করে ধারণ করছে। যে স্থানে তিনি বসে খাল খনন কর্মসূচি উদ্বোধন করেছিলেন, সেই স্থানেই আজ আমরা আবারও তাঁর অবদান স্মরণ করছি।”

তিনি আরও বলেন, “খাল খনন ও সংস্কার কর্মসূচি শুধু গ্রামীণ উন্নয়নেই নয়, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনেও কার্যকর প্রমাণিত হয়েছিল। অথচ বর্তমানে খাল ও নদী দখল, দূষণ এবং বিশেষ করে পলিথিন-প্রদূষণ মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে। কর্ণফুলি, হালদা ও সাঙ্গু নদী রক্ষায় এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”

আরও পড়ুনঃ গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ইবিতে ‘মার্চ ফর গাজা’

শহীদ জিয়ার কর্মসূচির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “১৯৭৭ সালে শুরু হওয়া খাল খনন কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখা এবং শুষ্ক মৌসুমে কৃষিকাজে সেচ নিশ্চিত করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি দেশ গড়ে তোলা। যদি এই কর্মসূচি চলমান থাকত, তবে আজকের মতো ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি এতোটা প্রকট হতো না।”

তিনি আরও জানান, “মাত্র দেড় বছরে এক হাজার ৫০০টির বেশি খাল খনন ও পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল। ১৯৭৯-১৯৮১ সালের মধ্যে ২৭৯টি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় তিন হাজার ৬৩৬ মাইল খাল খনন হয়। এই উদ্যোগের ফলে ১৯৮০ সালে খাদ্য উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। খাল খনন কর্মসূচি ছিল গ্রামীণ স্বনির্ভরতা ও কৃষি সম্প্রসারণে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবার পরিকল্পনা সম্পাদক ডা. মহসিন জিল্লুর রহমান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মো. ইদ্রিস মিয়া, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম সম্পাদক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুনসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।