

জায়েদ মাহমুদ রিজন নালিতাবাড়ি প্রতিনিধিঃ বন্ধুর মায়ের মৃত্যুর খবরে আগের দিন বিকেলেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক জানিয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন আশিক মাহমুদ (২৮)। কে জানত, সেই শোক প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যুর ছায়া নেমে আসবে তাঁর নিজের জীবনে! সবাইকে কাঁদিয়ে না–ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন এই তরুণ।
হৃদয়বিদারক এ ঘটনা ঘটেছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার গুজাকুড়া নলকুড়া গ্রামে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ভোরে হঠাৎ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতেই মারা যান আশিক। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে।
পরিবার ও সহপাঠী সূত্রে জানা গেছে, অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আশিক মাহমুদ। ২০১২ সালে হিরন্ময়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি, ২০১৪ সালে সরকারি নাজমুল স্মৃতি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ২০১৮ সালে সরকারি শেরপুর কলেজ থেকে অনার্স শেষ করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ রাজশাহী কলেজে ইতিহাস বিভাগের দুই গুণী শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা
সহপাঠী মোশাররফ শোকে ভেঙে পড়ে বলেন, “আশিক খুব শান্ত, ভদ্র আর হাসিখুশি ছেলে ছিল। বিশ্বাসই করতে পারছি না সে চলে গেছে। গতকালও ওর সঙ্গে গল্প করেছি। ভাবতেই পারিনি, কয়েক ঘণ্টা পর তাকে হারাতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “গতকাল আমার মায়ের মৃত্যুতে আশিক আমাকে সান্ত্বনা জানিয়ে ফেসবুকে শোক জানিয়েছিল। এক দিনের ব্যবধানে দুজন প্রিয় মানুষের মৃত্যু—এটা মেনে নেওয়া সত্যিই খুব কঠিন।”
জানা গেছে, মঙ্গলবার আসরের নামাজের পর গুজাকুড়া নতুন কবরস্থান মাঠে আশিকের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। অকালপ্রয়াত এ তরুণের মৃত্যুর খবরে পরিবার, স্বজন, সহপাঠী ও স্থানীয়দের মধ্যে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া।