চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম বলেছেন, শ্রমিক বাঁচলে মালিক বাঁচবে, মালিক বাঁচলে শ্রমিক বাঁচবে। মালিক ও শ্রমিক উভয় বাঁচলে অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে, দেশ এগিয়ে যাবে।
বুধবার (১ মে) শ্রমিক মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রম দপ্তর, শিল্প সম্পর্ক শিক্ষাআয়তন ও সমাজকল্যাণ কেন্দ্র এবং শ্রম অধিদপ্তর এর যৌথ আয়োজনে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নগরীর কে স্কোয়ার কনভেনশন হলে মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, এখন গরু দিয়ে আর হাল চাষ করা হয় না, শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটা হয় না, নির্মাণ শ্রমিক দিয়ে ইমারত নির্মাণ সামগ্রী উঠানো নামানো হয় না। সে জায়গাগুলো কলের লাঙ্গল ট্রাক্টর, এস্কেভেটর মেশিন কিংবা ক্রেইন দখল করে নিয়েছে। তবে সেসব কাজে ব্যবহৃত কোন শ্রমিক বেকার হয়ে যায়নি। তারা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নিজেদের কর্মক্ষেত্রে সম্পৃক্ত রেখেছে। সুতরাং নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রম দপ্তর এর পরিচালক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বিশেষ অতিথির বক্তৃতা রাখেন।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি শ্রমিকদের প্রাপ্য মর্যাদা ও সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে কাজ করেছেন। দেশের গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষদের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করেছে। এসময় তিনি গার্মেন্টস শ্রমিকদের সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসতে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এর কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানান।
এসময় মালিকপক্ষে বিজিএমইএ এর ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম , বিকেএমইএ এর পরিচালক ফাইজুল ইমরান খাঁন , দি চিটাগং চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ্ এবং শ্রমিকপক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন দত্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি বাঙালী প্রমূখ বক্তৃতা করেন।আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে পোশাক শিল্পের অবদান অনেক বেশি। পোশাক শিল্পকে বাঁচাতে পোশাক শ্রমিকদের রেশনিং এর আওতায় আনতে অনুরোধ জানান।আলোচনা সভার আগে দিবসটি উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি নগরীর ওয়াসা মোড় থেকে শুরু হয়ে কে স্কোয়ারে এসে শেষ হয়।