শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানা এলাকায় প্রতারণামূলকভাবে ভুয়া স্বামী পরিচয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চাঞ্চল্যকর গরীব অসহায় গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামী মোঃ জহুরুল ইসলাম সুজনকে ঢাকা জেলার শাহআলী থানাধীন এলাকা হতে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি ১, জামালপুর।
আসামী মোঃ জহুরুল ইসলাম সুজন (২৫) শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার কিল্লাপাড়া মোঃ কাইয়ুম আলী ছেলে। বিগত ০৬ বছর পূর্বে ভিকটিমের সাথে আসামীর মোবাইলে পরিচয় হয় এবং এপর্যায়ে তা প্রেম-ভালবাসায় রুপান্তর ঘটে।
পরবর্তীতে আসামি ভিকটিমকে প্রেম-ভালোবাসায় জড়িয়ে ঢাকার সাভারে নবীনগর এলাকায় অপরিচিত একজন মুরুব্বিকে কাজী সাজাইয়া সাক্ষী গণের উপস্থিতিতে বিবাহ সম্পন্ন করে এবং একটি নীল কাগজে স্বাক্ষর নেয়। অতঃপর ভিকটিমের সাথে দীর্ঘ ০৬ বছর যাবৎ শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানাধীন কিল্লাপাড়ায় আসামীর বসত বাড়ীতে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঘর সংসার করে।
ফলে ভিকটিমের গর্ভে এবং আসামির ঔরসে একজন পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। এমতঅবস্থায় গত ১১/১১/২৩ ইং তারিখে আসামি জানায় যে, ভিকটিমের সাথে তার কোন বিবাহ হয় নাই।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে ভিকটিম ও তার পরিবারে লোকজন আসামী কে জিজ্ঞাসা করিলে সে জানায় যে, লোক দেখানো ভুয়া নিকাহ রেজিস্টারের মাধ্যমে স্বাক্ষর নিয়ে (পাঁচ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য) করে প্রাতারনামূলকভাবে বিবাহের বিশ্বাস স্থাপন করে দৈহিক সর্ম্পক করেছে।
আরও পড়ুনঃ নগরীর ষোলশহর রেলষ্টেশন কিশোর গ্যাং এর আস্তানা,মাদকের হটস্পট
এমতাবস্থায় ভিকটিম একজন সহজ-সরল, গরীব মহিলা বিধায় তার সরলতার সুযোগ নিয়া আসামী প্রতারণামূলকভাবে বিবাহের বিশ্বাস স্থাপন করে দৈহিক সম্পর্ক এবং মিথ্যা বিবাহের নাটক সাজিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বিশ্বাস স্থাপন করে ক্রমাগত ধর্ষণ করেছে।
অত্র ঘটনার বিষয়ে ভিকটিম থানায় মামলা করতে গেলে, থানা কর্তৃপক্ষের পরামর্শে আদালতে যায়। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে অফিসার ইন-চার্জ নালিতাবাড়ি থানা কে এফআইআর করার নির্দেশ প্রদান করে।
এই ঘটনায় ভিকটিম মোসাম্মৎ মর্জিনা খাতুন (২৩) বাদীনি, হয়ে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানায় ০১টি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যা শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানার মামলা নং-২২, তাং-২৫/০১/২০২৪খ্রি. ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯ (১) |
মামলার একমাত্র এজাহারনামীয় ০১জন আসামীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ইং ০৪/০৫/২০২৪খ্রি. তারিখ রাত ২১.৪৫ ঘটিকার সময় , ঢাকা জেলার শাহআলী থানাধীন ঈদগাহ মাঠ এলাকা হইতে র্যাব-১৪, সিপিসি-১ জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর নেতৃত্বে একটি চৌকস আভিযানিক দল ও র্যাব-০৪, সিপিএসসি (মিরপুর) এর সিনিয়র এএসপি মোঃ আবুল বাশার এর উপস্থিতিতে যৌথ অভিযানক দল ঢাকা জেলার শাহ আলী থানাধীন ঈদগাহ মাঠ এলাকা হইতে উক্ত মামলার একমাত্র প্রধান আসামী ১। মোঃ জহুরুল ইসলাম সুজন (২৫), পিতা- কাইয়ুম আলী , কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উক্ত বিষয়ে ধৃত আসামীকে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যা, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছে যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণ কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষ ভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
র্যাব-১৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদক সংক্রান্ত অপরাধ কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে র্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সমাজ তথা দেশকে বাঁচাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।