সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের উত্তরের দেয়ালের ঠিক অপর পাশে সেনা অডিটেরিয়াম থেকে সেনা মার্কেটে আসা-যাওয়ার রাস্তাটি সুন্দর আট সিসি ঢালাই করে পথচারীদের জন্য নিরাপদ করা হয়েছে। তবু সেনা অডিটরিয়াম থেকে ওভারব্রিজ পর্যন্ত মাত্র ১০০ মিটার রাস্তাটি অরক্ষিত। এখানে চলে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি।
সেনা মার্কেটে আগত ক্রেতা, সাভার ক্যান্ট বোর্ড স্কুল ও সেনা পাবলিক স্কুলের অবিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্যদিন যাবত এই রাস্তার 'নির্দিষ্ট জায়গাটিতে' চলে নীবর চাঁদাবাজি। সাভার ক্যান্ট বোর্ড স্কুলের ৭ম শ্রেনীর ছাত্র রায়ান শেখের মা রোমানা শেখ তার সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন। গতকাল ১৪ মে মঙ্গলবার বেলা ৩ ঘটিকার সময় দুই মহিলা তাদের গতিরোধ করে ১০০টাকা দাবী করে। ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে টাকা দেওয়ার সময় ঐ চাঁদাবাজ মহিলারা ব্যাগে আরও বেশি টাকা দেখতে পেয়ে আরও বেশি টাকা দাবী করে এবং জোরজবস্তি করে।
আরও পড়ুনঃ গর্ভবতী মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতনতা আবশ্যক: স্বাস্থ্য পরিচালক
একই সময়ে স্মৃতি সৌধে বেড়াতে আসা আরেক মহিলার ভ্যানটি ব্যাগই জোর করে নিয়ে যায়। সাভার সেনা মার্কেটে সেলসম্যান হিসাবে কাজ করার সুবাদে এই রাস্তাটি প্রতিনিয়ত ব্যবহার করেন জুয়েল রানা। সে প্রায়ই এমন পরিস্থিতর সম্মুখিন হন' বলে স্বীকার করেন স্পেশালী শুক্রবার। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন হয়রানি ও বিব্রত হচ্ছেন অনেক পথচারী। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন সেনা মার্কেটের ব্যবসায়ী ও বোর্ড স্কুল অবিভাবক মিরাজ হোসেন, সেনা পাবলিক স্কুলের অবিভাবক রিপন মিয়া সহ সেনা মার্কেটে আগত অনেক ক্রেতা।
একই ওভারব্রীজের ব্যবসায়ী হকারগণও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। বিষয়টি নিয়ে স্কুলে আসা যাওয়ার সময় আতঙ্কে থাকে স্কুলগামী কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা। স্পেশালী স্মৃতিসৌধে আগত অতিথি ও নবাগত কেউ তাদের হাতে পড়লে বা বহিরাগত অনুমান করতে পারলে, টাকা দিতে গরিমসি করলে তাদের সাথে অশোভন আচরণের মাত্রা বেড়ে যায় কয়েকগুন।
অকথ্য ভাষায় গালাগালি, সাপ দিয়ে ভয় দেখানো, আর ব্রিজ'টাতে আছে ছোটছোট শিশুদের পায়ে জড়িয়ে ধরে পথচারীদের কাছে ভিক্ষাবৃত্তি। সংকট নিরসনে সেনা শপিং কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী কমিটির প্রতিনিধি জনাব মাহবুবুর রহমান ইকবাল বলেন, ''তাদের ধরা হয়েছিল, আবারো তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে বলা হবে। এই প্রতিবেদককে সেনা বাহিনী গুয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার আশ্বাস দেন।"
উল্লেখ্য যে, নির্ধারিত রাস্তাটির ঠিক অপর পার্শ্বেই ট্রাফিক পুলিশ বক্স যেখানে প্রতিনিয়ত ডিউটি করেন ট্রাফিক পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা। বিষয়টি প্রশাসনের সুনির্দিষ্ট কোন বিভাগের দেখভাল করার কথা'? এমন বিতর্কে না জড়িয়ে সমস্যার আশু সমাধান চান ভোক্তভোগীরা।