
মোঃ মাহিদুজ্জামান সিয়াম, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ১৩২ বছর বয়সী মো. আব্দুস সালাম মারা যান ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে। বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যাওয়া বৃদ্ধের দাফন-কাফন সম্পন্ন হয় তার পারিবারিক গোরস্থানে, সম্পূর্ণ ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক। তবে হঠাৎ কবর স্থানান্তর করার সময় মাটি খুঁড়ে দেখা যায় চাঞ্চল্যকর দৃশ্য। বৃদ্ধের মারা যাওয়ার প্রায় ১৫ বছর পরও কবরে অক্ষত মরদেহ, কাফনের কাপড় এখনো ধবধবে সাদা এবং মরদেহটি রয়েছে অক্ষত। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মনে সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্যের এবং অসংখ্য মানুষ ভিড় জমাতে থাকেন এক নজর দেখার জন্য।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার সীমান্তবর্তী রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন নব্দীগঞ্জ গোদাশিমলা এলাকায়।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক বর্ধিতকরণ ও গ্যাসের সঞ্চালন লাইন স্থাপনের লক্ষ্যে, সরকারি জায়গায় পড়া কবরস্থানটির কবরগুলো স্থানান্তরের উদ্যোগ নেন স্বজনেরা।
আরও পড়ুনঃ পাবনায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে আব্দুস সালামের কবর স্থানান্তর করার সময় তারা দেখতে পান ১৫ বছর আগে যে কাফনের কাপড় পরিয়ে আব্দুস সালামকে দাফন করা হয়েছিল সেই কাপড় নতুনের মতোই রয়েছে এবং লাশও প্রায় অক্ষত রয়েছে। পরে পার্শ্ববর্তী আরেকটি কবরস্থানে পুনরায় দাফন করা হয় তাকে।
শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সেই পুরোনো ও নতুন কবরস্থানে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষজন ঘটনা দেখতে ও জানতে এসেছেন।
এ সময় মৃতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, মৃত আব্দুস সালাম কৃষি ও গৃহস্থালির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার ২ স্ত্রী, ৮ ছেলে ও ৪ মেয়ের মধ্যে অনেকেই মারা গেছেন। তিনি জীবিত থাকাকালে খুব দ্বীনদার মানুষ ছিলেন। জড়িত ছিলেন তাবলীগে জামাতের সাথে। সারারাত কাটাতেন ইবাদত-বন্দেগি করে। বে-নামাজির হাতের রান্না খেতেন না। এলাকায় খুব ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৫ বছর পরও তার লাশ অক্ষত থাকার বিষয়টি আল্লাহর কুদরত ও তার নেক আমলের প্রতিদান বলে মনে করছেন তার স্বজন ও স্থানীয়রা।