মো:রেজাউল করিম, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা কোরবানির হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং বিক্রেতাদের কাছ থেকেও অবৈধভাবে টোল নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি টোল আদায়ের কোন মূল্য তালিকা দেয়া নেই।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৩০০ টাকা আবার কোনো ক্ষেত্রে গরু প্রতি সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা টোল আদায়ের নির্দেশনা রয়েছে। এতে ক্রেতা ৩০০ টাকা ও বিক্রেতা ১০০ টাকা পরিশোধ করবেন। কিন্তু ইজারাদাররা প্রতি রশিদে ৬০০ টাকা আদায় করছেন।
আরও পড়ুনঃ ইউনূসকে অপমানিত করার দুরভিসন্ধি সরকারের নেইঃ ওবায়দুল কাদের
৬০০ টাকার মধ্যে ক্রেতার কাছ থেকে ৩০০, বিক্রেতার কাছ থেকে ১০০ ও হাটের চাঁদা হিসেবে ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। সরকারি বিধি অনুযায়ী ছাগলের রসিদ হচ্ছে ৬০ টাকা আর হাটের ইজারাদাররা নিচ্ছে ছাগল প্রতি ৩০০টাকা।
মঙ্গলবার (৪জুন) হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা হাটে সরেজমিন গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।
গরু কিনতে আসা নাম প্রকাশ করতে অনেচ্ছুক অনেকে বলেন, আমাদের মূল্যবিহীন ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সেখানে টোল আদায়ের টাকার পরিমাণ নেই। শুধু ছাড়পত্রে (রসিদ) গরুর ক্রয়মূল্য লেখা রয়েছে।
গরু ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত টোল দিতে হয়। এতে গরু নিয়ে বিক্রি করে কোনো লাভ হয় না। তার পরেও আমাদের ব্যবসা করতে হচ্ছে। বড়খাতা হাটের ইজারাদার পক্ষের আহসান হাবীব লাভলু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সরকার নির্ধারিত ছাড়পত্রের ফি বাবদ ৩৫০ টাকাই নেওয়া হচ্ছে। আর কেউ যদি টাকার পরিমাণ বেশি নিয়ে থাকে সেটি তাদের নিজস্ব বিষয়।
এবিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, বড়খাতা হাটে শুধু নয় উপজেলার প্রতিটি হাটবাজারে যদি কেউ বেশি টোল আদায় করে তাদের বিরুদ্ধে আইনাগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।