spot_img

― Advertisement ―

spot_img

নওগাঁয় নেসকোর অবহেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক শিশু মৃত্যু

মোঃ রমজান হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ নওগাঁয় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাওহিদ নামে ১৩ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো)...
প্রচ্ছদসারা বাংলানওগাঁয় সন্তান হারানো মায়ের আত্মনাদ, কোথাও পাচ্ছেনা বিচার 

নওগাঁয় সন্তান হারানো মায়ের আত্মনাদ, কোথাও পাচ্ছেনা বিচার 

মোঃ রমজান হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ নওগাঁয় সন্তান হারানো মায়ের আত্মনাদ,কোথাও পাচ্ছেন না বিচার। নওগার  মহাদেবপুর উপজেলাধীন রায়গা ইউনিয়নে ফতেপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের  ধরে সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত সন্তানের জননী শাহিনা বিবি।

তিনি বলেন,২৭  সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইংরেজি তারিখে আমার বড় পুত্রবধূর চিকিৎসার জন্য আমরা কেউই বাড়িতে ছিলাম না। শুধু আমার ছেলে নাহিদ হাসান বাসায় ছিল। দুপুরে আমরা বাসায় এসে দেখতে পাই আমার বাড়ির পাশের বাড়ির আফাজের  ছেলে এনামুল সহ কয়েকজন আমার ছেলের মাথায় পানি ঢালছে।

কারণ জানতে চাইলে এনামুল বলেন যে নাহিদ কারেন্টের শক খাইছে। আমি হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তারা বাধা দিয়ে বলে সে মারা গেছে। তবুও আমি আমার ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। লাশ বাসায় আনার পর তাকে দ্রুত আপনার ব্যবস্থা করে ওই বাড়ির এনামুল সাহ কয়জন।এলাকাবাসীর  সবাইকে না জানিয়েই এমনকি আমার স্বামী নাহিদের  বাবাকে না জানিয়েই তারা লাশ দাফন করে।

আরও পড়ুনঃ যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে শেষ চারের রাস্তা খোলা রাখল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

তিনি আরও বলেন, লাশ দাফনের কয়েকদিন পর  তারা প্রকাশ করে যে পূর্ব শত্রুতা জের ধরে তার ছেলেকে হত্যা করেছে। বিষয়টি জানার পর সাথে সাথে মহাদেবপুর থানায় মামলার জন্য যাই। তখন মহাদেবপুর থানার ওসি বলেন বিষয়টি অনেকে আগে জেনেছি সাথে সাথে আসলে মামলা নিতে পারতাম এখন কোট ছাড়া হবে না। তখন আমি নওগাঁ ম্যাজিস্ট্রেট কোটে মামলা করলেও এখন পর্যন্ত কিছু হয় নাই।

আরও বলেন, কোর্টে মামলা করলে তারা আমাদের বিভিন্ন ভয়-ভীতি সহ হুমকি দেয়। তখন আমি মহাদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করি। ঈদের দুইদিন আগে তারা হুমকি দিয়েছে। আবার একটি অভিযোগ দিব। আমরা কোন সুষ্ঠু বিচার পাচ্ছি না। আমাদের চেয়ারম্যান আরিফ রহমান কে জানালেও সে গুরুত্ব দিচ্ছে না। কয়েকজন সাংবাদিক এসেও কোন সংবাদ প্রকাশ করছে না। বলতে বলতে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আমাদের জানান, এনামুল ও তার ছেলে জুনায়েদ সহ ৬ জন মিলে নাহিদকে হত্যা করেছে।