আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে বিজেপি নেত্রীকে মারধর ও নির্যাতনের ঘটনায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের কংগ্রেসের দিকে আঙ্গুল তুলেছে বিজেপি।
বিজেপির দাবি, ‘লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে জেলার বিভিন্ন জায়গায় পরাজিত বিরোধীদলীয় কর্মীদের ওপর হামলা করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় রাজ্যের শাসক দল তাদের নেত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধর করেছে এবং এই অবস্থায় এক কিলোমিটার হাঁটিয়েছে গ্রামের মধ্যে।’
নির্যাতিতা নেত্রীর অভিযোগ, ‘ভোট গোনার পর থেকে তৃণমূল আমাদের হুমকি দিচ্ছে। ভয়ে স্বামীকে ঘর ছাড়তে হয়। ২৫ জুন তৃণমূলের কর্মীরা আমাকে বিবস্ত্র করে মারধর করে।’
নির্যাতিতা নেত্রীর দাবি,‘আমার মেয়ে বিজেপি করে বলে ভয় দেখাচ্ছিল। মুসলমান হয়ে কেন বিজেপি করবে, এই প্রশ্ন ওরা তুলেছিল। মেয়ে কাজ থেকে ফেরার পথে ওর উপর হামলা চালায় তৃণমূলের নারী কর্মীরা। মারধর করে পোশাক ফেলে দেয়। বিবস্ত্র অবস্থায় এক কিলোমিটার হাঁটিয়েছে গ্রামের মধ্যে।’
এদিকে পাল্টা দাবি তৃণমূলের। তাদের দাবি,‘এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। একেবারেই স্থানীয় বিবাদের জেরে ওই নারীকে মারধর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুনঃ ভারতে বিজেপি নেত্রীকে মারধর, বিবস্ত্র করে হাটানো হয় ১ কি.মি.
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী ও জেলার শীর্ষ তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ বলেন, ‘যারা ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে একজন অভিযোগকারিণীর ভাসুর, একজন নারীও রয়েছে। এর সঙ্গে তৃণমূলকে জুড়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। আমাদের সঙ্গে এর কোনো যোগ নেই।’
মারধরে অভিযুক্ত এক নারীর দাবি,‘আমরা সম্পর্কে আত্মীয় হই। একটা গন্ডগোল অনেকদিন ধরেই চলছে। ওই নারী আমার দিদিকে কু’কথা বলেন। তা নিয়ে ঝগড়া ও পরে ধস্তাধস্তি হয়। সেই সময় ওই অভিযোগকারিণী নিজেই কাপড় ছিঁড়ে ফেলেন।’