
মোঃ আবু হায়াৎ, সুনামগঞ্জ (জেল) প্রতিনিধিঃ দ্বিতীয় দফায় সুনামগঞ্জে বন্যা কারণে জেলার ১৬০ বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৯টি এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১০১টি। বন্ধ থাকা অনেক বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় এখনও রয়েছে হাঁটু সমান পানি। স¤প্রতি অতিবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
জানা যায়, স¤প্রতি টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে পরপর দুই দফায় বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন জেলার প্রায় ২৭ লাখ মানুষ। দ্বিতীয় দফা বন্যায় আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এজন্য বন্ধ রয়েছে পাঠদান। এছাড়াও অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকলেও শিক্ষার্থী উপস্থিতি খুবই কম। শিক্ষকরা জানালেন, রাস্তা—ঘাটে পানি থাকায় শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম।
বিশ্বম্ভরপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফয়েজ উল্লাহ ফারুক বলেন, আমাদের বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এখনও পানি হাঁটুর উপরে। স্কুলে গতকাল পর্যন্ত ৩৫টি বন্যার্ত পরিবারের লোকজন আশ্রয় নিয়েছিল।
তিনি বলেন, স্কুলে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে আজকে (শুক্রবার) বন্যার্ত পরিবারের লোকজন চলে গেছেন।
ছাতক উপজেলার তাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল খায়ের মো. ইকবাল বলেন, টানা তিনবার বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমরা স্কুল খোলা রেখে যথারীতি বসে থাকি। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আসতে পারে না। রাস্তা—ঘাট এখনও পানিতে তলিয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ রায়পুরায় নদী থেকে অজ্ঞাতনামা মরদেহ উদ্ধার
একই উপজেলার হাসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসাইন মো. মহসিন বলেন, আমরা তিন তারিখ থেকেই স্কুল খোলা রেখেছি। ক্লাস চলছে নিয়মিত। কিন্তু শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। তিনি বলেন, গ্রামের পাড়া—মহল্লায় সড়ক পথে পানি রয়েছে। শিক্ষার্থীরা সেজন্য আসতে পারে না।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল দাস বলেন, জেলায় ২৩৮টি বিদ্যালয়ে পানি উঠেছিল। ৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো, জাহাঙ্গীর আলম জানান, বন্যার কারণে জেলার ১০১টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। স্কুলের মাঠে, রাস্তা—ঘাটে এখনও বন্যার পানি রয়েছে। বিশেষ করে ছাতক এবং জগন্নাথপুর উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি প্লাবিত হয়েছে।