spot_img

― Advertisement ―

spot_img

কালীগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগী সংগঠনের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

মোঃ মুক্তাদির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ গাজীপুরের কালীগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উপজেলা শাখা ও এর সকল সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (৮...
প্রচ্ছদসারা বাংলামরদেহ উদ্ধারের ১২ দিন হলেও, গ্রেফতার হয়নি আসামি

মরদেহ উদ্ধারের ১২ দিন হলেও, গ্রেফতার হয়নি আসামি

এস, এম হামিম সরকার নিরব। চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে একজন কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করেছেন নিহতের পরিবার। লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট অপেক্ষামান। তবে এদিকে এ ঘটনায় ১২ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ বলছেন, গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করা হবে।

মৃত্যুর ঘটনায় উপজেলার দুই শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিহতের পরিবার। আসামিরা হলেন- উপজেলার ছোট কুষ্টারী এলাকার ফজলুল হকের ছেলে সিনান স্বচ্ছ (২১) ও সামস পাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ইউসুফ আহমেদ জায়েদ (১৯)।

নিহত কলেজছাত্রের নাম জোবায়ের হোসেন আমিন (১৯)। তিনি উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মন্ডল পাড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। কারমাইকেল কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

নিহতের পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাত ১০টার দিকে স্বচ্ছ ও জায়েদ জোবায়েরকে বাড়ি থেকে ডেকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যান। পরে রাত ১টার দিকে জোবায়েরের মা তাকে ফোন দিলে দ্রুত বাড়ি ফেরার কথা জানান। কিন্তু রাত ৩টার দিকে খবর আসে জোবায়ের নদীতে পড়ে গেছে।

আরও পড়ুনঃ কথা দিয়ে কথা রাখেনি ডিবি,ফেইসবুক পোস্টে যা জানালো সারজিস

ভোর থেকে শুরু করে পর দিন নদে অনুসন্ধান করেও কোনও খোঁজ মেলেনি। ঘটনার একদিন পর শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে নৌবন্দরের পন্টুনের দক্ষিণে জোবায়েরের লাশ ভেসে ওঠে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

জিয়াউর রহমান আমিন নামে নিহতের এক চাচাতো ভাই বলেন, সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারনে আমার ছোট ভাই বাসায় আসে। সেদিন রাতে তাকে বাসা থেকে ডেকে নেয় পরে তারা ফোন করে জুবায়ের পা পিছলে পানিতে পরে গেছে এমন খবর দেয়। লাশ উদ্ধারের পর লাশের গায়ে বিভিন্ন চিহ্ন পাওয়া যায়। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এবং দ্রুত আসামী গ্রেফতারের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবি জানাচ্ছি।

চিলমারী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) নাজমুল হক বলেন, আসামি গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত আছে। চিলমারী মডেল থানার পুলিশ সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছেন আসামী গ্রেফতারে। আসলে কিছুদিন যাবত বৈরী আবহাওয়ার কারণে কার্যক্রম চালতে পারিনি। তব আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামী গ্রেফতার করা হবে।