
মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেছেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী দুঃশাসনের অবসানের পর থেকে আমরা হিন্দু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের মনে সাহস দিয়েছি।
তিনি মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকালে মোহরা ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি, সংখ্যালঘু বলে দেশে কিছু নেই, সবাই দেশের নাগরিক। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মন্দির ও বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করে তাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। হিন্দু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনের পাশে বিএনপি সবসময় রয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির পাহারা, সংখ্যালঘু পরিবারের খোঁজখবর নেওয়াসহ নিরাপত্তা নিশ্চিতের কাজও করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। দেশের বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। হিন্দু মুসলিম আমরা সবাই ভাই ভাই, এ দেশেরই নাগরিক আমরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।
নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন মন্দির ও বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করে তাদের নিরাপত্তার সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। হিন্দু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনকে কোনো ধরনের গুজবে কান না দিয়ে স্বাধীনভাবে চলাফেরাসহ স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য অভয় দেন। তা ছাড়া সব রকম বিপদে তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
আরও পড়ুনঃ শহীদ আসিফের কবর জিয়ারত করলেন সাতক্ষীরার ডি.সি ও এস.পি
এসময় নাজিমুর রহমান বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ভয়ভীতি দূর করতে আমরা প্রতিটি পাড়া মহল্লায় গিয়ে মন্দির পরিদর্শন করে খোঁজখবর নিয়ে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছি। মন্দিরগুলো পাহারায় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তাদের উপর চোরাগোপ্তা হামলা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর দোষ চাপাতে পারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পাহারায় থাকবো আমরা।
তিনি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে দল মত নির্বিশেষে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চান্দগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আজম, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সহ সভাপতি মো, ইদ্রিছ মিয়া, মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জানে আলম জিকু, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান, বিএনপি নেতা জাফর আহম্মদ, মো. ইয়াছিন, মো. ইউছুপ, আবু কালাম আবু, দিদারুল আলম হিরামন, ছাত্রদল নেতা খোশেদ আলম রুবেল, আরিফুর রহমান, মো. তারেক, মো. রিকু, নুর উদ্দীন, মো. আজগর, মো. রাশেদ, মো. বাপ্পী, মো, তৈয়ব, মো. টিপু, মো. জাবেদ, মো. জিদান প্রমূখ।