শেখ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সাভার প্রতিনিধিঃ সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার পাথালিয়া ইউনিয়নের চারিগ্রামের বাসিন্দা রাশেদুল ইসলাম সজল এর নিজের পুকুরে ছাড়া ৫০ লক্ষ টাকার মাছ হারিয়ে নিঃস্ব। গতকাল ১৮ অক্টোবর সকাল থেকেই পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠাতে থাকে।
এর প্রতিবাদে আজ সোমবার (১৯ আগষ্ট) দুপুরে শতাধিক গ্রামবাসী ডেনিম ফ্যাক্টরীর প্রবেশ পথে মিলিত হয়ে মানববন্ধন করেন।
অতপর সংবাদের ভিত্তিতে সরজমিন পরিদর্শন করে পুকুরের পানিতে অতিরিক্ত কাল পানির প্রবাহ লক্ষ করা যায়। পুকুরটির অদূরেই অবস্থিত অরোন ডেনিম ফেক্টরী লিমিটেড আর এই ফেক্টরীর দূষিত বর্জ্যের পানি নিস্কাষনের যথাযথ প্রবাহ না থাকায় আর বর্জ্র পরিশোধনের প্রক্রিয়া যথাযথভাবে ফলো না করায় নিস্কাষিত পানির বিষক্রিয়ায় তরুণ উদ্যোক্তা সজলের পুকুরের প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মাছ মরে যাওয়ার অভিযোগ করেন।
এসময় তারা সজলের ক্ষতিপূরণ সহ দূষিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার স্থায়ী সমাধান চান। উল্লেখ্য যে নিকটস্থ্য তাঁতি বিলের প্রায় কয়েক হাজার একর জমিতে দূষিত পানির কারণে এখন কোন মাছ নাই এবং খরার মৌসুমে ধান চাষ হলেও সেচের জন্য ব্যবহৃত পানি বিষাক্ত আলকাতরার রুপ ধারণ করে যেখানে চাষাবাদ করতে এসে চর্মরোগ সহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত কয়েক হাজার কৃষক পরিবার।
অথচ সারা বছরই এই কারখানার দূষিত বজ্র নির্ভিগ্নে তাঁতি বিলে ফেলতেছে আরন ডেনিম লিমিটেড নামের পোশাক কারখানা। মানববন্ধন শেষে চারিগ্রামের রাশেদুল ইসলাম স্বজলের ১০ একর জায়গার পুকুরে গিয়ে মৃত মাছ গুলোকে ভাসতে দেখা গেছে। গত তিন দিন থেকেই রাশেদুলের পুকুরের মাছগুলো মরতে শুরু করে।
আরও পড়ুনঃ ভোলার মেঘনায় বজ্রপাতে বাবা মৃত্যু ছেলে নিখোঁজ
ভুক্তভোগী উদ্যোক্তা রাশেদুল ইসলাম স্বজল বলেন, মালয়েশিয়ার একটি ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করে এসে তরুণ উদ্যোক্তা হয়ে নিজ জমিতে ও ১০ একর পুকুর লিজ নিয়ে চার বছর যাবত পুকুরটিতে সরপুটি, কালবাউস, নলা, কাতল, মিরকা, বাটাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ শুরু করি এবং এবছর প্রায় ৪০ লাখ টাকার মাছ ছাড়ি। কিছুদিন পরেই মাছগুলো বিক্রি শুরু করতাম। কিন্তু পাশে থাকা আরন ডেনিম নামের একটি পোশাক কারখানার বর্জ পানি বৃষ্টির কারণে আমাদের পুকুরে ঢুকে যায়৷ আর গত দুইদিন থেকে ধীরে ধীরে মাছ মরে ভাসতে থাকে। গতকাল এবিষয়ে আশুলিয়া থানায় জিডি করার কথা জানান সজল।
মানববন্ধন শেষে আরন ডেনিম লিমিটেড পোশাক কারখানার জি এম এম ও এডমিন মহোদ্বয়ের সাথে স্হানীয় সাবেক মেম্বার আমিনুর রহমান সহ স্হানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের সমন্বয়ে বৈঠকে আগামীকালের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বসে স্থায়ী সুরহার আস্বাস দেন।